পর্বঃ২৬

229 16 14
                                    

বিয়ের দিনটা খুব ব্যস্তভাবেই কাটে সবার। বরযাত্রীও চলে এসেছে। বিয়ে পড়ানোও দেখতে দেখতে শেষ। ফিমার বিদায়ের পালা উপস্থিত। কান্নাকাটির পর ফিমার বিদায়ও শেষ হলো। হঠাৎ করেই বাসাটা নীরব হয়ে গিয়েছে। বাচ্চা কাচ্চা সব হয়তো ঘুমুচ্ছো ক্লান্ত হয়ে। গুরুজনরা সবাই বসে আছে ড্রয়িং রুমে একসাথে। ফিমার মায়ের মন সবচেয়ে বেশি খারাপ স্বভাবতই। উনি আর জাহানারা বেগম শুধু রুমে আছেন। ফাহিম ফিমার সাথে গিয়েছে। রাহি আর জান্নাতের মনটাও খুব খারাপ। রাহি তো ফিমাকে ধরে অনেক্ষন কান্নাও করেছে। সারাবছর একসাথে না থাকলেও, কারো সাথে খুব একটা দেখা না হলেও ওদের বন্ডিংটা ছিলো সুন্দর। রাহির নিজের বোনের মতোই ওকে আদর করেছে। জান্নাতের বেলাতেও তাই।

জান্নাত,রাহি,তানিয়া,জাহিদ,তানভীর এরাই এখানে গুরুজনদের পর বড়জন। বাকিরা সব বাচ্চা-কাচ্চা। ওরা ৫ জন ছাদে বসে আছে গোল করে চেয়ার টেনে।

জান্নাত- আচ্ছা এভাবে মুখ উল্টিয়ে বসে থেকে লাভ আছে!

রাহি- ফিমা আপু চলে গেলো কেন! *☹️*

জান্নাত- তো বিয়ে হয়েছে এখন যাবে না!

রাহি- কেন যাবে?

জান্নাত- 😑 বিয়ে হয়েছে তাই যাবে। আমারো তো মন খারাপ করছে তাই বলে কি এভাবে বসে থাকতে হবে! বিয়ে হয়েছে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। স্বাভাবিক। 

রাহি হঠাৎ জান্নাতের হাত ধরে বলে- আমি তোকে বিয়ে করতে দিবো না। 😤

জান্নাত, তানিয়া,জাহিদ,তানভীর-........... 

সবাই রাহির দিকে গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে আছে।

রাহি সবার তাকানো দেখে বলে- এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো!

জাহিদ- জান্নাত রে বিয়ে করতে দিবা না কেন? ওরে তো আমি যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে পারি। আপত বিদায় হবে বাসা থেকে। এরপর আমার একা রাজত্ব।😎

জান্নাত জাহিদের দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়।

তানিয়া আর তানভীর জাহিদের কথা শুনে নিশব্দে হাসে।

রাহি- কিন্তু জানু চলে গেলে তোমার কষ্ট লাগবে না! আমার তো ভাবতেই ডিপ্রেশানে চলে যেতে ইচ্ছে করছে।

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now