তানভীর জান্নাতকে নিয়ে ফাহিমের রুমে আসে। এই রুমটা এখন একটু খালি আছে। ফাহিম বাহিরে ডেকোরেশান দেখছে। জান্নাত বোকার মতই এখনো তাকিয়ে আছে তানভীরের দিকে।
জান্নাত- কিছু বলবা?
তানভীর- অবশ্যই। আমার বুয়ার কাজ নাই অনেকদিন হয়ে গেলো। এখন তো একটু কাজ করা উচিত! *বাকা হেসে*
জান্নাত- 😑😑
তানভীর- বসো এখানে। জান্নাত বসে বিছানায়। তানভীর লাগেজ থেকে একটা প্যাকেট বার করে। সেটা জান্নাতের হাতে দিয়ে বলে।
তানভীর- এটা আমার আজকের মানে হলুদের পাঞ্জাবি। সুন্দর করে আইরন করবা এখন? বুঝছো? পুড়লে তোমার খবর আছে। তোমার শাড়ি কেটে পাঞ্জাবি বানায় দিবা। ওই কর্নারে গিয়ে আইরন করো এটা।
জান্নাত-এটার জন্য আমাকে টেনে আনছো এখন?
তানভীর- তো তুমি কি ভাবছিলা?
জান্নাত- আমি কি ভাববো। যাচ্ছি। বলে কর্নারে গিয়ে কাজে লেগে পরে।
তানভীর হাল্কা হাসে।
লাবণ্য- তোমরা হাসছো? কিছুটা রেগে।
রাহি সিরিয়াস ফেস করে বলে- নাতো। হাসার মতো কিছু হয়েছে কি?
ফিমা ঠোঁট চেপে আছে। ওরো হাসি পাচ্ছে।
লাবণ্য মুখটা ছোট করে চলে যায় সেখান থেকে।
রাহি আর ফিমা হাসতে থাকে।
ফিমা- উফ বাঁচলাম। তানভীর তানভীর করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছিলো।
রাহি- হিহি। এখন ভালো হয়েছে।
.
.
.
তানিয়া বোকা বোকা চোখে জাহিদের দিকে তাকিয়ে আছে। জাহিদ কি করতে চাচ্ছে ও বুঝতে পারছে না। আজ থেকে জাহিদের ৩ দিনের ছুটি। তানিয়ারও তাই ছুটি। তানিয়া ভেবেছিলো সারাদিন বাসায় থাকবে। কিন্তু হঠাৎ সকাল বেলা জাহিদ এসে ওকে নিয়ে শপিং এ বার হয়। তানিয়া ভেবেছিলো হয়তো কেনাকাটা করবে তাই ওকে এনেছে পছন্দ করার জন্য। কিন্তু এতোগুলা জামা-কাপড়, শাড়িও এতোসব কিনে ওর হাতে ঝুলিয়ে দিবে এটা ভাবে নি ও।