রাহি আর আমি এখন ঘুরে ঘুরে শাড়ি দেখছি। এই মেয়ের আই মিন রাহির পছন্দ হচ্ছে না কিছুই। আধা ঘন্টার উপর হবে শুধু শাড়ির জন্যই ঘুরছি। ভাবা যায়!
দোকানদার একটা নেভি ব্লু শাড়ি দেখালো। রাহি কিছুক্ষন দেখে যেই মুখটা কুচকে নিয়েছে আমি সাথে সাথে শাড়িটা ওর হাত থেকে নিয়ে নিয়েছি।
--- এটাই নিবো। প্যাক করে দেন এটাই।
রাহি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর চোখের পাপরি ফেলছে বারবার।
---কি?
রাহি- এটা আমার পছন্দ হয়নি। তুই নিলি কেন?
--- তোর পছন্দ আজ আর হবে না। বইন এই শাড়িটাতে তোকে পরীর মতো লাগবে দেখিস। অনেক সুন্দর। আর তুই তো এমনিতেই সুন্দর। এতো সুন্দর মেয়েটাকে যাই পড়বি তাতেই ভালো লাগবে দেখিস। মাথায় হাল্কা হাত বুলিয়ে বললাম।
রাহি চোখগুলা ছোট ছোট করে বললো- তুই ইচ্ছে করে এমন বলছিস আমি শাড়ি পছন্দ করছি না বলে।-_-
---যাক তাও তো বুঝতে পারছিস।
রাহি- জানু!!!
---আহা। এই শাড়িটা এমনিতেও সত্যি সুন্দর। আমার পছন্দ হয়েছে খুব। তুই আমাকে কেন এনেছিস? পছন্দ করে দিতেই তো? তো দিলাম পছন্দ করে। এটাই আমার পছন্দ হয়েছে। এখন চল।
শাড়ির প্যাকেটটা নিয়ে পে করে রাহিকে নিয়ে বের হয়ে যাই। এই মেয়েকে বিশ্বাস নাই। তারপর টুকিটাকি কিছু জিনিস কিনে একটা রেস্টুরেন্টে যাই।
বিকেল হওয়ায় তেমন একটা মানুষ নাই। এক-দুইটা কাপল বসে আছে অন্য পাশে। আর আমাদের সামনে একজন ছেলে বসে আছে।
আমি আর রাহি দুটো কোল্ড কফি অর্ডার করে বসে আছি। অনেক্ষন ঘুরতে হয়েছে।
আমি আর রাহি কফি খাচ্ছিলাম আর গল্প করছিলাম। আমি শুনছিলাম আরো ভালো ভাবে বলতে গেলে। রাহি তার নিউ ক্রাশকে নিয়ে কথা বলছিলো। ছেলেটা আমাদের থেকে এক ইয়ার জুনিয়র। ও প্রথমে দেখেছে ওদের সাথের বাসার ছাদে। এসবই। হঠাৎ কেউ আমার নাম ডাকে। সেদিকে তাকাই-
--- ফাহিম ভাইয়া?
[ফাহিম! পুরো নাম ফাহিম হাসান। জান্নাতের বড় খালাতো ভাই। একজন বিজনেসম্যান। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে মাশাআল্লাহ। উচ্চতা ৫ ফুট ১০।]
