"এটা আমার ড্রেস। আমি পছন্দ করবো। তোমার কি?" রেগে বলে জান্নাত।
তানভীর- একশবার আমার অনেককিছু। আমার বুয়ার-
জান্নাত- ইয়াহ! *জোরে চিৎকার করে উঠে জান্নাত*
তানভীর- আরে আস্তে। এটা তোমার বাসায় না। অনেক মানুষ আছে। আসলেই সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
তানভীর সবার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে সরি বলে।
তানভীর- কি সমস্যা! যেটা বলছি বুঝতে পারছো না! এই ড্রেসটাই নিচ্ছো ফাইনাল। এটা প্যাক করুন। কোনো কথা হবে না। *লেহেঙ্গাটা দিয়ে*
ফাহিম একটা দীর্ঘশ্বাস ফালে।
ফাহিম- হয়েছে? এখন আমাদের কিনা(ফাহিম আর তানভীরের কথা) বাকি আছে। ফিমা আর তোমার ফ্রেন্ড ওইদিকে আছে। চলো।
জান্নাত- হ্যাঁ হয়ে গেছে চলো। আর আমার ফ্রেন্ড কি! ওর একটা নামও তো আছে নাকি!! রাহি ডাকবা। ও তো তোমার ছোটই।
ফাহিম- ও-ওই।
তানভীর- চলো। উঠে জান্নাতের প্যাকেটটা নিয়ে হাতে।
এতোক্ষন তানভীর আর জান্নাত ঝগরা করছিলো জান্নাতের লেহেঙ্গা নিয়ে। ফিমার বউ ভাতের দিন পড়ার জন্য সবাই লেহেঙ্গা নিয়েছে। ফিমারটা আরো আগেই কিনা হয়েছে। ফিমার ফিয়ন্সেও এসেছিলো। ওরা মেচ করে কিনেছে। জান্নাত আর রাহির টা বাকি ছিলো। ফাহিম জান্নাতকে একটা লেহেঙ্গা সিলেক্ট করে দিয়েছিলো কিন্তু জান্নাত সেটা রাহিকে দিয়েছে। রাহি নিতে চায় নি তাও রাহির জন্য ওটা দিয়েছে। তাই ফাহিম আর কিছু বলতে পারেনি। কারণ জান্নাত নিজেই দিয়েছে। আর তানভীর এদিকে ওর জন্য একটা লেহেঙ্গা নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করছিলো। শেষ পর্যন্ত সেটাই নিতে হয়েছে জান্নাতকে।
তানভীর আর ফাহিমের কেনাকাটার সময় তানভীর জান্নাতের সাথে মেচ করে কিনেছে। যেটা নিয়েই এক ঝগরা হয়ে গিয়েছে। তাও তানভীর সেটাই কিনবে। আর ফাহিমকেও তানভীর নিজে পছন্দ করে দিয়েছে রাহিরটার সাথে মিলিয়ে। পছন্দ করে দেইনি ঠিক জোর করে ধরিয়ে দিয়েছে।
সবাই এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। ফাহিমও যাচ্ছে। এখন ফাহিম ড্রাইভ করছে। সাথে জান্নাত বসতে যাচ্ছিলো কিন্তু তানভীর জান্নাতের হাত ধরে রাখে।