এক রকমের যুদ্ধ চলছে বাসায়। পুরো বাসা একদম এলোমেলো। মানে খুবই বাজে অবস্থা। অবশ্য প্রথম কেউ বাসায় শিফট হলে এমনই থাকে বাসার হাল।
সোফা পলিথিনে মোরানোই আছে। ড্রয়িং রুমে। এর উপর ব্যাগ এর বাজার। বেডটা এতোক্ষন তানভীর ভাইয়া রুমে ঠিকঠাক করে সেট করেছে। আর আমার হাতে সব পর্দা দিয়ে রেখেছে। আমি কোনোমতে এতোগুলো পর্দা নিয়া দাঁড়িয়ে আছি। বসারও জায়গা নাই কোনো। কোনো চেয়ার তো কিনা হয় নাই। তার উপর আমার চুলগুলো আরো বিরক্ত করছে। মাথা ঘেমে গিয়েছিলো বলে একটু ছেড়ে রেখেছিলাম। এখন নাকে মুখে পড়ছে বাতাসে। ফ্যানও ফিট করা হয়ে গেছে। এসব কাজ তানভীর ভাইয়াই করেছে। আমি হাতে হাতে এগিয়ে দিচ্ছিলাম আরকি। এখন সেটা বড় কথা নয় বড় কথা চুল আমার মুখের ভিতর ঢুকে গেছে কয়েকটা।
---ইয়া উয়াক। ফু দিয়েও সরাতে পারছি না। কিছু বলতেও পারছি না স্পষ্টভাবে।
তানভীর জান্নাতের দিকে তাকায় এমন শব্দ করতে দেখে। তাকিয়ে দেখে ওর মুখে চুল সেগুলা ফু দিয়ে বার করার চেষ্টা করছে। তানভীর এগিয়ে গিয়ে জান্নাতের মুখ থেকে চুলগুলো বের করে দেয়।
তানভীর- চুল বেধে রাখতে পারো না!
জান্নাত- গরম লাগছিলো বলে একটু খুলে রেখেছিলাম। বাই দা ওয়ে থ্যাংক ইউ।
তানভীর আর কিছু বলে না। রুমের অন্যপাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
তানভীর- এদিকে আসো। পর্দাগুলো নিয়ে। এটা বলে তানভীর একটা চেয়ার বার করে বারান্দা থেকে।
জান্নাত হা করে তাকিয়ে থাকে।
জান্নাত- এখানে চেয়ার ছিলো এতোক্ষন? বললে না কেনো? আমি কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি এগুলা নিয়া।
তানভীর- তো তুমি তো বলো নাই যে বসবা। আর পাঁচ মিনিটও হয় নাই তুমি এগুলা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো।
জান্নাত চোখ গুলা ছোট ছোট করে তানভীর এর দিকে তাকায়।
তানভীর- এদিকে আসো তাড়াতাড়ি। আমি চেয়ার এর উপর দাঁড়িয়ে একটা একটা করে লাগাবো আর তুমি দিবা। এই বলে তানভীর চেয়ার এর উপর উঠে যায়। আর জান্নাত ওর কথা মতো একটা একটা করে পর্দা দেয়।