পর্বঃ৩৩

284 15 6
                                    

অনেক কথার শেষে ডিসিশান হয় জাহিদ-তানিয়ার সাথে তানভীর-জান্নাতের বিয়ে হবে। একি দিনে দুই ভাই-বোনের বিয়ে ঠিক। যেহেতু দুটো বিয়ে একি বাড়ির ২ জন। তাই একসাথে হলেই সুবিধা বেশি। তাই একি দিনে বিয়ে ঠিক হয়।  বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু এই ডেট ফিক্সে রাহির মন খারাপ। কারণ সে থাকতে পারবে না। ফাহিমের সাথে দেশের বাহিরে থাকবে। ওখানে তারা এক মাসের মতো থাকবে। রাহি যেতে না করে দিয়েছিলো কিন্তু তার শাশুড়ী জোর করে হলেও পাঠাবে। আর কাগজ-পত্রও সব রেডি।

ফাহিম অফিস থেকে আসে রাত ৮টার দিকে। বাসা নীরব। ফাহিমের মা এখন নিজের রুমেই আছে। একটু অসুস্থ্য।  হাত পায়ের ব্যাথা। ফাহিম সোজা ওর মায়ের রুমে যায়। মায়ের সাথে দেখা করে রুমে যায়। গিয়ে দেখে রাহি বিছানার মাঝখানে পা ভাজ করে বসে আছে মুখটা ভার করে। কান্না করে দিবে দিবে অবস্থা। ঠোঁটগুলোও হাল্কা কাপছে। ফাহিম একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রাহিকে দেখে। রাহি ফাহিমের উপস্থিতি বুঝতে পারে কিন্তু তাও তাকায় না। এখন কথা বলার অবস্থায় নেই সে। কথা বলতে গেলেই কান্না করে দিবে। ফাহিমের উপরে কিছুটা রেগেও আছে সে। কেনো তার কাজ এখনি পড়তে হলো। আর এতোদিনই বা লাগবে কেনো। কিন্তু ওকে কে বুঝাবে ওরা যেনো কিছুদিন ঘুরতে পারে তাই তো টাইমটা বাড়িয়েছে সাথে কাজও। এখন তো পিছুনোর সুযোগ নেই। ফাহিম সোজা ঢুকে পরে ওয়াশরুমে। একদম ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রাহি আগে যেভাবে বসে ছিলো এখনো এভাবেই আছে। ফাহিম গিয়ে ওর পাশে বসে। 

রাহি- মন খারাপ?

রাহি রাগী চোখে ফাহিমের দিকে তাকায়।  ফাহিম কিছুক্ষনের জন্য থেমে যায় আর কিছু বলে না। রাহি আবার অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। ওর কষ্ট কে বুঝবে। ও মনে মনে ভাবে।

ফাহিম- কি করবো বলো? আমি তো জানতাম জান্নাতের বিয়েও এতো তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে। আর আগে থেকে ঠিক করা বলে এখন পিছাতেও পারছি না। কি করবো বলো। তুমিই বলো। তুমি যা বলবা তাই করবো।

রাহি ফাহিমের দিকে তাকায়। চোখে পানি টলটল করছে। হঠাৎ কি মনে করে ফাহিমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ফাহিম একটু চমকে গেলেও কিছু বলে না। রাহির মাথায় হাত রাখে।

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now