জান্নাতকে নিয়ে তানভীর ছাদে আসে। জান্নাত কিছুটা অবাক হয়। কিন্তু কিছু বলে না। এখন বাসায় সব মানুষজন। একদম হাইজ-ফুল। ছাদেই একটু নীরব। তানভীর জান্নাতের হাতটা ছেড়ে দাঁড়ায়।
তানভীর- যদিও ছাদে আসার প্লেন ছিলো না তাও এসে ভালোই হয়েছে। *হাল্কা হেসে*
জান্নাত কিছু বলে না। সেও শুধু হাল্কা হাসে। দু'জনই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ জান্নাত বলে-
জান্নাত- আগে এভাবে লাবণ্যকে না বললেও পারতা। ও ছোট মানুষ। আর তাছাড়া তোমার প্রতি ওর একটু দুর্বলতা আছে-
তানভীর জান্নাতের কথা শেষ করতে না দিয়েই বলে- ও ছোট। তাই জন্যই তো কথাগুলা বলা দরকার ছিলো। তুমি ওর বড়। কথা বলার সময় ভেবে বলা উচিত। *ভ্রু কুচকে*
জান্নাত ছ বোধক একটা শব্দ করে রেলিং এ দুইহাত রাখে আর বলে- তোমার হয়েই তো বলছিলো ও।
তানভীরও জান্নাতের পাশে ঘেষে দাঁড়ায় রেলিং-এ দুই-হাত রেখে।
তানভীর- আমার জন্য কি আমি বলেছিলাম নাকি বলতে!
জান্নাত- না বললেও ও বলেছে। ওর মনে হয়েছে যেটা ও বলেছে।
তানভীর- আচ্ছা এটা নিয়া আর কথা না বলি। 😑 অন্য কথা বলো।
জান্নাত- অন্য কি কথা বলবো?
তানভীর- তোমার আর কোনো কথা নাই আমার সাথে? *কিছুটা অবাক হয়ে*
জান্নাত ভাবছে এরকম একটা ভাব করে বলে- না তো। *হাল্কা হেসে*
তানভীর কিছুটা রাগী চেহারা করে তাকায়। কিন্তু পুরোপুরি রাগী চেহারাও করতে পারে না।
তানভীরের চেহারা দেখে জান্নাত হেসে দেয়।
জান্নাত- তোমাকে কিউট লাগছে! হাহা। হাত দিয়ে দেখিয়ে হেসে।
জান্নাতের কথায় তানভীর স্বাভাবিক চেহারা করে। জান্নাত হাসছে এখনো। যদিও তেমন আলো না থাকায় দেখা যাচ্ছে না। তবে বুঝা যাচ্ছে। তানভীর অন্ধকারেই জান্নাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ তানভীরকে চুপ করে যেতে দেখে জান্নাত হাসি থামায়। তারপর সামনে তাকিয়ে তানভীরকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।