তানভীর আর জান্নাত মোটামুটি পুরো বাসাটাই গুছিয়ে ফেলে। তানভীর বিছানায় চিত হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ে। এতোক্ষন সব ঘর ছাড়ু সেই দিয়েছে। আর জান্নাত সব মোছামুছি করেছে। জান্নাত আসছিলো বিছানায় শুয়ার জন্য। কিন্তু তানভীরকে দেখে আবার উল্টো দিকে হাটা দেয়। ড্রয়িং রুমে গিয়ে সোফায় গা ছেড়ে দেয়।
জান্নাত- আল্লাহ আমার কোমড় নাই। পিঠও ব্যাথা করছে। (আমার এখন করছে সত্যি সত্যি)
দু'জনই প্রচুর টায়ার্ড থাকায় ঘুমিয়ে যায় কখন বুঝতে পারে না।
তানভীরের ঘুম ভাঙে জাহিদের ফোন আসায়। জাহিদ যখন ফোন করে বলে জান্নাতকে নিয়ে বাসায় চলে যেতে ও আসতে পারবে না। তানভীর ভেবেছিলো জাহিদ আসলে জান্নাতকে নিয়ে যাবে। আজকে এখানেই থেকে যাবে ও। টায়ার্ড খুব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যাওয়াই লাগবে। তানভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে বসে। বাসা একদম নীরব। ফেনের আওয়াজ হচ্ছে শুধু তানভীর উঠে যায় জান্নাতকে খুঁজার জন্য। ড্রয়িং রুমে এসে দেখে জান্নাত বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে। তানভীরের হাসি পায়। জান্নাতের গালগুলো হাল্কা গুলোমুলো হওয়ায় কিউট লাগছে খুব। হাসি থামিয়ে জান্নাতকে ডাক দেয়।
তানভীর- জান্নাত উঠো।
জান্নাত-........
তানভীর- জান্নাত?? *কিছুটা জোরে*
জান্নাত এবার উঠে। চোখ কচলে সামনে তাকায়।
জান্নাত- জি ভাইয়া। মানে বলো কি হয়েছে? জান্নাত অনেক ক্লান্ত থাকায় তার কথাগুলোও অনেক আস্তে আস্তে বলে। যা তানভীর বুঝতে পারে।
তানভীর- চলো। বাসায় যেতে হবে। জাহিদ আসতে পারবে না। অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে চলো। এই বলে তানভীর বের হয়।
জান্নাতও উঠে যায় পিছু পিছু ঘুম চোখে নিয়েই।
জান্নাত- এক মিনিট দাঁড়ালে কি হতো! মুখটা ধুয়ে আসতাম। *বিরবির করে বলে*
তানভীর- কিছু বলছো?
জান্নাত- কই। না তো।
