তানভীর ভাইয়াকে হঠাৎ আমার রুমে দেখে আমি অনেক বেশিই অবাক হলাম।
---জি ভাইয়া আসুন মানে এসো। আমি দাঁড়িয়ে বললাম।
তানভীর ভাইয়া ভিতরে আসে। ভাইয়ার হাতে একটা বক্স।
তানভীর- এটা তোমাকে দেওয়ার ছিলো। তোমার এই চকলেটটা খুব ভালোলাগে তো। জাহিদ বলেছিলো। আমি আসার সময় নিয়ে এসেছি। এই নাও। *বক্সটা আমার হাতে দিয়ে*
--- থ্যাংক ইউ ভাইয়া। *বক্সটা হাতে নিয়ে হাসি মুখে বললাম*
তানভীর ভাইয়াও হাল্কা হেসে চলে যাচ্ছিলো। কিন্তু তখনই আসে রাহি। হয়েছে!
রাহি এসেই এক লাফে আমার পাশে দাঁড়ায়। ওকে এভাবে হঠাৎ করে আসতে দেখে তানভীর ভাইয়া একটু অবাক হয়।
রাহি তানভীর ভাইয়ার দিকে হাসি মুখে তাকিয়েই আছে। তানভীর ভাইয়া হয়তো একটু ওকওয়ার্ড ফিল করছে তাই অন্যদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো বুঝতে পারছে না যাবে কি যাবে না।
তানভীর- আমি আসছি তাহলে। এই বলে যেই না যেতে নেয় তখনি রাহি তানভীরের হাত ধরে। তানভীর অবাক হয়ে তাকায়। রাহি হাত ছেড়ে দেয়।
রাহি- ইয়ে। ভালো আছেন? *হেসে*
তানভীর- জি ভালো। আপনি?
রাহি- আমিও ভালো। আপনাকে দেখে আরো ভালো হয়ে গিয়েছি। হিহি। *হেসে* রাহির কথা শুনে তানভীর ওর দিকে তাকায়। জান্নাত রাহির হাত ধরে টেনে কাছে এনে বলে
জান্নাত- কিসব বলছিস!
রাহির জান্নাতের কথায় হুস ফিরে। এ এতোক্ষন তানভীরকেই দেখছিলো যে জান্নাতকে এতো খেয়ালই করেনি। তানভীর রাহির দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। রাহি তা দেখে বলে- আসলে না মানে আপনি এসেছেন তার জন্য ভালো লাগছে আরকি ইয়ে-
রাহিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তানভীর বলে- আমি আসছি। এই বলে চলে যায়। পিছনে তাকায় না আর।
রাহি মনটা হাল্কা খারাপ করে বসে বিছানায়।
জান্নাত- কি হয়েছে? তোর তো খুশি হওয়ার কথা। তোর তানভীর ভাইয়ার সাথে কথা বললি।