---জান্নাত আমি ফাহিম!
জান্নাত একটু অবাক হয়ে যায়। কারণ ও এখন মনে করেছিলো রাহি ফোন দিয়েছে। ফোনটা কান থেকে নামিয়ে কল আইডি দেখে আবার কানে নেয়।
জান্নাত- ওহ সরি। আসলে আমি ভেবেছিলাম রাহি ফোন দিয়েছে। হিহি।
ফাহিম- ঠিকাছে সরি বলতে হবে না। *হেসে*
জান্নাত- হ্যাঁ বলো। কি বলবা?
ফাহিম- কাল তো তোমাদের আমি নিতে যাবো। তা কখন যাবো? মানে তোমার তো ভার্সিটি আছে। তাই জিগেস করলাম।
জান্নাত- ওহ হ্যাঁ। তুমি চাইলে আরো আগেই এসে পড়ো। আমি ভার্সিটির পর রাহিকে নিয়ে আসবো। এইতো বিকেলের দিকে বের হবো আরকি।
ফাহিম- আচ্ছা। আমি তাহলে দুপুরের দিকে তোমাদের বাসায় চলে যাবো।
জান্নাত- হুম।
ফাহিম- তো কেমন আছো?
জান্নাত- এইতো ভালো। তুমি কেমন আছো?
তখনই জান্নাতের ফোনে আরেকটা কল আসে। জান্নাত ফোনটা কান থেকে নামিয়ে দেখে তানভীর ফোন দিচ্ছে।
জান্নাত- এখন তানভীর ভাইয়া ফোন দিচ্ছে কেনো? (মনে মনে)
ফাহিম- জান্নাত? শুনছো?
জান্নাত- হ্যাঁ! ও হ্যাঁ শুনছি বলো।
ফাহিম- বলছিলাম ফিহার বিয়ের শপিং এ যাবো পরশু সবাই। তোমার সব ড্রেসও তখন কিনা হবে। তাই আগে শপিং এ যাও নাই তো?
জান্নাত- না। আম্মু বলেছে। খালামণি আগেই বলে দিয়েছিলো।
ফাহিম- যাক ভালো হয়েছে।
তখন আবারো ফোন আসে তানভীরের।
ফাহিম- তোমার ফোন আসছে বারবার। এখন এতো রাতে কে দিচ্ছে?
জান্নাত- হ্যাঁ ওই তো রাহি দিয়েছে।
ফাহিম- ওহ আচ্ছা তাহলে কথা বলো আমি রাখছি। কালকে দেখা হচ্ছে। আল্লাহ হাফেজ।
জান্নাত ফাহিমকে কেনো যেনো তানভীরের কথা বলেনি। ফাহিম ফোন কাটার পর আবার তানভীরের ফোন আসে। জান্নাত রিসিভ করে।