সকাল সকাল রাহির জন্য ঘুম থেকে উঠতেই হলো। এই মেয়েটাকে নিয়ে কই যাবো আমি? সকাল হওয়ার আগে থেকেই ডাকা শুরু করে দিয়েছে। মানে এর মাথা পুরাই ফাঁকা। এতো সকালে কি কেউ উঠেছে নাকি? আমরা উঠে কি করব টাকি!
আমি তাও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। রাহি এবার একদম আমার কানের আছে এসে চিল্লান দেয়।
রাহি- এই জানু!!!
আমি বিরক্ত হয়ে উঠে বসি। আরেকটুর জন্য কালা হয়ে যেতাম অকালে।
--- তোর সমস্যা কি বইন? এই এতো সকালে তুই আমাকে বিরক্ত কেন করছিস? ঘুমা না তুই! আর আমাকেও ঘুমাইতে দে শান্তিতে।
রাহি- এখন তো সকাল হয়েই গিয়েছে। আর ঘুমিয়ে কি করবি! *আস্তে আস্তে বলে রাহি*
--- তোর মাথা খারাপ? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ কয়টা বাজে!! *ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৫ঃ১৭ বাজে*
রাহি- খুব বেশি সকাল কোথায়! *এটাও আস্তে আস্তে বলে রাহি*
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি- আচ্ছা কি করবো এখন বল? এভাবে বসে থাকার জন্য তো ডাকোস নাই আমাকে।
রাহি হঠাৎ খুব এক্সাইটেড হয়ে বলে- এই চল না তানভীর ভাইয়ার সাথে দেখা করে আসি। এখন তো সকাল হয়েই গিয়েছে। *আমার এক হাত ধরে বসে*
আমি কি বলবো এক মিনিটের জন্য ভাষা খুঁজে পেলাম না। এই মেয়ে এতো সকালে আমাকে টেনে তুলছে তানভীর ভাইয়ার সাথে দেখা করার জন্য!
-তুই আমাকে এই সাত সকালে তোর তানভীর ভাইয়ার সাথে দেখা করার জন্য তুলছোস বান্দর! তোর কি মনে হয় ওই ব্যাটা এতো সকালে তোর জন্য উঠে বসে আছে!!! বাসায় কেউ-ই তো এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই আম্মু ছাড়া মনে হয়। আর আব্বু হয়তো উঠেছে। যাই হোক ভাইয়া আর তানভীর ভাইয়া ৮টার আগে জীবনেও ঘুম থেকে উঠবে না। *কিছুটা রেগেই বললাম*
রাহি আমার ধমকে হাত ছেড়ে দেয়।
রাহি- এমন করোস কেন?*ঠোঁট ফুলিয়ে*
--- তো কেমন করবো? মানে আশ্চর্য। আল্লাহ তোকে নিয়া আমি কোথায় যাবো! মাথায় কি তোর কিচ্ছু নাই!!! তানভীর ভাইয়া তানভীর ভাইয়া করতেছোস কালকে থেকে। যা তোর তানভীর ভাইয়ার সাথে। গিয়ে গলায় ঝুলে থাক এখন। *লাস্টের কথাটা রাহিকে ধমকে বললাম*
