আমিনা খান কতক রুটি সব্জি খেতে দেয় বলদাকে। বসে বসে বলদার খাওয়া দেখে আমিনা। চল্লিশে স্বামী হারিয়ে বিধবা আমিনা। এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে রাশেদ সাহেবের বাড়ি আশ্রয় পায়।একটা মেয়ে ছিল সাদি হয়ে গেছে।
–আপনে ম্যাসেচ কি বলছিলেন,সেইটা কি?আমিনা জিজ্ঞেস করে।
–গা-হাত-পা ব্যথা হলি ম্যাসেজ করলি আরাম হয়।আমিনার হাটুতে কোমরে ব্যথা।এরে দিয়ে মেসেচ করাইলে আরাম হইতে পারে।চল্লিশের শরীরে সব চাহিদা শেষ হয়ে যায়নি এখনো।বলদারে বললে কেমুন হয়, মনে মনে ভাবে আমিনা।লজ্জায় বলতে পারছে না।
–আপনেরে একটা কথা কই মনে কিছু কইরেন না।
–আপনি বলেন যা আপনার খুশি,কত লোকেই তো কত কথা বলে।
–উঃ পায়ের ব্যাদনায় খুব কষ্টে আছি। পা-এ এট্টু মেছেস দিবেন? যদি একটু আরাম হয়?
–তা হলি ভিতরে চলেন।দুজনে বাইরের ঘরে আসে।আমিনাকে সোফায় বসতে বলে বলদা তার সামনে মাটিতে বসে।তারপর আমিনার একটা পা নিজের কোলে তুলে নিয়ে কাপড়টা হাটুর উপর তুলে দেয়।ঠ্যাং খান চাগাইয়া তুলতে ভিতরে ভুরভুরাইয়া বাতাস খেলে।আমিনার কান লাল হয়,নিশ্বাস ভারী হয়ে আসে।বলদা দুইহাতে গভীর মনোযোগ দিয়ে টেপা শুরু করে।
–আরাম হয় না?
–হ্যা খুব আরাম হয়।আমিনার গলা ধরে আসে।আশায় থাকে বলদা কাপড় আরও উপরে তুলবে। কোমর পর্যন্ত তুললেও কিছু বলবে না আমিনা।আয়েশে সোফায় এলিয়ে পড়ে।উঃ লোকটা কামের আছে।
শপিংয়ে বেরিয়েও মনটা অস্থির।ফারীহা ভাবেন কি করছে বালু বাড়িতে।আমিনা তার খাতিরদারি ঠিকঠাক করছে কিনা। তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন ফারীহা।গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত বাড়িতে ঢুকে বসার ঘরে চোখ যেতে মাথার মধ্যে ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে।আমিনা কোল থেকে পা নামিয়ে উঠে দাঁড়ায়।ভাবতে পারেনি আফা এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন। আবদুলের কাছ থেকে জিনিস পত্র নিয়ে আফার পিছনে পিছনে উপরে উঠে যায়।আফা মনে হয় গুসসা করছে।
আমিনা সন্ত্রস্তভাবে বলে,আফা কিছুই তো কিনেন নাই। গেলেন আর আইলেন, শরীল খারাপ নাকি? আঃ গুস্তের বড়া আনছেন–।
–বেশি বকিস না।জিনিস গুলো তুলে রাখ।বালুরে পাঠায়ে দে।
–আপনে গুসসা করছেন?
–তোর শরম হয় নাই আনজান পুরুষের কোলে পা তুলে দিলি?
–ভুল হইসে আপা মাপ কইরা দেন।
–ঠিক আছে ,এখন যা।
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।