(২৯) মৌ-সোম

283 2 0
                                    

শহিদুল্লাহ ভবন থেকে ফোন এসেছিল। রিসিভার কানে দিয়ে শুনতে পায় বলদেব, কি সিদ্ধান্ত করলে?

অনেক খরচের ব্যাপার কি বলবে বলদেব? ইচ্ছে হলেই হবে না, কে যোগাবে ব্যয়ভার?

-সিদ্ধান্ত করো, ব্যয়ের কথা ভাবতে হবে না।

একটু ভাবার সময় চেয়ে নিল বলদেব। মণ্টি এসে কোথায় গেল? ঘরের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে, খোলা হাওয়ায় একটু বেড়িয়ে এলে ভাল লাগবে। বলদেব রাস্তায় নামল। মণ্টির আচরণ অদ্ভুত লাগছে কেন এমন করছে? সরাসরি কিছু বললে বোঝা যেত। ফুটপথ ধরে হাটতে থাকল আনমনা।

নাদিয়া বেগম মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখলেন, দরজা খোলা।বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছে মণ্টি। পিঠে হাত রেখে বলেন, অসময়ে শুয়ে পড়লি, তোর কি শরীর খারাপ?

মায়ের দিকে না তাকিয়ে গুলনাহার বলেন, তোমার জামাই কি বিদেশ যাচ্ছে?
-তোর কথা তো আমি কিছু বুঝতে পারিনা, তুই গেছিলি কই?
-গেছিলাম তোমার জামাইয়ের খবর নিতে।
-কি আবোল তাবোল বলছিস? তুই কি পাগল হলি?

এক ঝটকায় উঠে বসে গুলনাহার, হ্যা, আমি পাগল হয়ে গেছি। তারপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, মা আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি শিব গড়তে বান্দর গড়েছি।

নাদিয়া বেগম কথার মাথা মুণ্ডু বুঝতে পারেন না। মেয়ের কান্নায় আপ্লুত হয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, কাদিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে-ওঠ মা, চেঞ্জ করে আয়। বলা একটু বের হইছে, আসার সময় হয়ে গেছে।

নাদিয়া বেগম চিন্তিত মুখে বেরিয়ে গেলেন। হঠাৎ কি হলো? স্কুলে কোনো গোলমাল হলো নাকি? দরকার নাই তোর কাজ করার কত করে বুঝানো হলো, শুনলে তো? সব রাগ গিয়ে পড়ে স্বামীর উপর। মেয়েটারে আস্কারা দিয়ে মাথায় উঠাইছেন। এখন দেখো কেমন নিশ্চিন্ত, যত জ্বালা পোহাতে হবে মায়েরে।

ড.রিয়াজ নীচে নেমে ইউসুফের সঙ্গে কথা বলছেন।কোথায় গেছিল ,কার বাসায়? খোজ খবর নিচ্ছেন।বলদেব ফিরে ড.রিয়াজকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে।
-আব্বু আপনি কখন আসলেন?
-এই আসলাম। তুমি উপরে যাও, আমি আসতেছি।ড.রিয়াজ জামাইকে লক্ষ্য করেন।

মন যা চায় তুমি তাইOnde histórias criam vida. Descubra agora