(১৬) বদলির চিঠি

262 1 0
                                    

গুলনাহার এহসানকে বাসায় নিয়ে আসে নুসরাত।মন্টি আপা আগের মত কথা বলেনা, কেমন গম্ভীর। ম্যাম যে কথা বললেন কিভাবে সেকথা বলা যায় নুসরাত ভাবে, দ্বিধা হয় যদি তাকে ভুল বোঝে?

সারাক্ষন চেয়ে চেয়ে কি ভাবে গুলনাহার এহসান। কথায় কথায় চাকরির কথা বলে। মন দিয়ে শুনলো কি শুনলো না বোঝা গেল না।
–আমাকে নিয়ে তোদের অফিসে আলোচনা হয়না?

গুলনাহারের প্রশ্নে চমকে ওঠে নুসরাত। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, আড়ালে কি বলে জানি না, আমার সামনে কাউকে কিছু বলতে শুনিনি। মন্টি আপা তুমি এত চিন্তা করছো কেন? সব ঠিক হয়ে যাবে।
–কি ঠিক হয়ে যাবে? কি করে ভুলবো I was repped. মন্টি আপা হাউ-হাউ করে কেঁদে ফেলে।
–আমাদের ম্যাডাম বলেছেন, কেউ পার পাবে না, সব কটাকে ধরবে।
–ভদ্রমহিলা যথেষ্ট করেছেন আমার জন্য। কিন্তু ধরলে কি আমার কলঙ্ক মুছে যাবে? আবার আগের মত হয়ে যাবো,বিয়েতে কোনো বাধা থাকবে না?

নুসরাত মাথা নীচু করে ভাবে, ম্যামের কথাটা বলবে কি না? মন্টি আপার যা মানসিক অবস্থা ভরসা হয়না কথাটা কিভাবে নেবে?
–নুসরাত আমি জানি তুই আমাকে খুব ভালবাসিস কিন্তু ভালবাসার এত ক্ষমতা নেই যে আমাকে কলঙ্ক মুক্ত করে। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে গুলনাহার।
–ম্যাম একটা কথা বলছিল।
–কি কথা?
–সুদর্শন স্বাস্থ্যবান সহজ সরল উদারমনা মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাবান একজনের কথা।
–তোদের ডিএম সাহেবা তৈরী করবেন? উনি কি খোদা নাকি?
–উনি না,খোদায় পাঠিয়েছে।

গুলনাহার এহসানের কপালে ভাজ পড়ে। গলার কাছে শ্বাস আটকে যায়। ভ্রু কুচকে নুসরাতকে দেখে।

–দেবের কথা বলছিলেন। আমি বলেছি বেশি লেখাপড়া জানে না। ম্যাম বলে,শিখে নেবে।

গুলনাহার এহসান মন্টি কিছু বলেনা, পাশ ফিরে চোখ বোজে। নুসরাতের নিজেকে অপরাধী মনে হয়। পারুল এসে রান্না ঘরে ঢোকে। নুসরাত বলে,খালা মণ্টি আপা এসেছে, চা বেশী করে বানাও।

ইজি চেয়ারের হাতলে পা তুলে দিয়ে জেনিফার আলম গভীর চিন্তায় ডুবে আছেন। বলদেব দরজার কাছে এসে গলা খাকারি দিল। জেনিফার চোখ মেলে বললেন, ও বলু? ভিতরে এসো।
–ম্যাম আর কেউ ধরা পড়েছে?
–তুমি যাকে ধরেছো সেই বাকীদের ধরিয়ে দেবে। লোকাল ওসি লোকটা ভাল না। কাধটা একটু ম্যাসেজ করে দেবে?

মন যা চায় তুমি তাইWhere stories live. Discover now