(১৩) ম্যাসাজ

346 1 0
                                    

ঘুম ভাঙ্গতে নুসরাত বুঝতে পারল,তার হায়েজ হয়েছে।ধড় ফড় করে উঠে বসে বিছানায়।পরীক্ষা করে দেখে রক্ত লেগেছে কিনা বিছানায়? পাশে গুলনাহার ঘুমে অচেতন। গুলনাহার তার থেকে বয়সে কিছু বড়।দুজনই ঢাকার থেকে চাকরির প্রয়োজনে এসেছে।গুলনাহার স্কুলে শিক্ষিকা নুসরাত ডিএমের অফিসে চাকরি পায়। নুসরাত জাহানেরও ইচ্ছা ছিল শিক্ষিকা হবার,আবেদনও করেছিল। নসিব খারাপ তাই ডিএমের পিএ হিসেবে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।এখানে দুই অসমবয়সী বন্ধু ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে।গুলনাহারের স্কুল কাছেই,দুরে জঙ্গলটার পরেই।

কাল অনেক রাত অবধি গল্প করেছে দুই বন্ধু,মজার মজার কথা।দেবের কথা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সোজা সরল মানুষ এরকম দেখা যায় না। মেয়েদের প্রতি সম্ভ্রমবোধ আজকাল কোন পুরুষের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় না।গুলনাহার অবাক হয়ে বলেছে,মানুষটারে একবার দেখতে হয়। নুসরাতের অভিমান হয়, গুলনাহার হয়তো ভাবছে বানিয়ে বানিয়ে বলছে।

–দেখলে তোমার মনে হবে না দেব আমাদের অফিসের পিওন।এত সুন্দর চেহারা।ওর সঙ্গে কথা বললে বেশ সময় কেটে যায়।
–দেখে মানুষকে বিচার করতে যাস না।আমাদের স্কুলের ক্লার্ক আদিল দেখতে নিরীহ,হা-করে দিদিমণিদের বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে।ওর কাছে যেতে গা ঘিনঘিন করে।মা-মাসির বয়সি কাউকে রেয়াত করেনা।
খিলখিল করে হেসে ফেলে নুসরাত। হাসি থামিয়ে বলে,জেনিফার ম্যাডামের কাছে সব পুরুষ লম্পট–।ভাগ্যিস আমার আলাদা ঘর।
–তবু ভাল আদিল খালি দেখে,কেউ কেউ আরো ভয়ঙ্কর। ইদানীং স্কুলে যাবার পথে কয়েকটা ছেলে গান শুনায়।

কথাটা শুনে শঙ্কিত হয় নুসরাত,জিজ্ঞেস করে,গান শুনায়?মানে?
–অবাক লাগে আমি স্কুলের টিচার,ভাবছি এত সাহস পায় কি করে?
–আজকাল সব কেমন হয়ে যাচ্ছে।আমাদের সময় দিদিমণিদের কত সম্মান করতাম–।
–ভাবছি আর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাবো না।ঘুরে যেতে গেলে অনেকটা পথ।
–অসুবিধে হলে বোলো ব্যাপারটা আমি জেনিফার ম্যাডামকে বলবো।
গুলনাহার বলে,দরকার নেই,আপনি ঠিক হয়ে যাবে।
নুসরাত বাথরুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি গোসল করে নিল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখল ঘুম থেকে উঠে পড়েছে গুলনাহার।

মন যা চায় তুমি তাইWhere stories live. Discover now