(২৪) হিংসুটে বউ

288 2 0
                                    

বিশাল দোতলা বাড়ি সামনে কিছুটা ফাকা জায়গায় গাড়ি পার্কিংযের ব্যবস্থা। কয়েক পা হেটে সিড়ি দিয়ে উঠতে হয়। গেট পেরিয়ে গাড়ি ঢোকে, গাড়ির থেকে নেমে জেনিফার এপাশ-ওপাশ চোখ বুলিয়ে বাড়িটা দেখে বললেন,এতো প্রাসাদ!

–এইটা আব্বুর বাড়ি, আমার না।

জেনিফার মনে মনে হাসেন। গুলনাহারের সঙ্গে সঙ্গে জেনিফার ভিতরে গিয়ে বৈঠকখানা ঘরে বসলেন।
–আপনি একমিনিট বসুন। গুলনাহার ভিতরে ঢুকে গেলেন।

জেনিফার অবাক হয়ে চারদিক দেখছেন। বড় বড় তৈলচিত্র দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে। বার্মা কাঠের আসবাবে সুসজ্জিত ঘর। বোঝা যায় বনেদি বংশ। জানতে ইচ্ছে হয় বলু কেমন আছে এখানে?

গুলনাহার নিজের ঘরে ঢুকে দেখলেন দেব পাশ বালিশ আকড়ে ঘুমিয়ে আছে। একটা আটপৌরে সালোয়ার কামিজ পরলেন। টেবিলে রাখা পানির গ্লাস নিয়ে চুমুক দিলেন। পিছন ফিরে দেখলেন ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে দেব।
–তোমার সাথে দেখা করতে আসছে একজন। বলো তো কে?
–মণ্টি তুমি আমাকে বলদা বলতে চাও বলো, খারাপ লাগেনা। কিন্তু বলদা ভেবো না।
গুলনাহার খিলখিল করে হেসে উঠে জিজ্ঞেস করেন, তোমাকে বলদা ভাবলাম কখন?
–আমার এই ঠিকানা কেউ জানলে তো আসবে?
–আমি মিথ্যা কথা বললাম? জামা গায়ে দিয়ে চলো দেখবে কেউ আসছে কি না?

দেব উঠে জামা গায়ে দিয়ে গুলনাহারের সঙ্গে বৈঠকখানায় গিয়ে অবাক। স্যার আপনি?
–বলু আমি আর এখন তোমার স্যার না। তুমিও আর সে তুমি নেই।
–আমি একটা পাস করেছি কিন্তু আমি যা ছিলাম তাই আছি।
গুলনাহার বলেন, আপনারা কথা বলেন। আমি আম্মুরে খবর দিয়ে আসি। গুলনাহার চলে গেলেন। কিছুক্ষন পর করিম এসে চা নাস্তা দিয়ে গেল।

জেনিফার খেতে খেতে জিজ্ঞেস করেন, এরপর তুমি কি করবে ঠিক করেছো?
–মণ্টির ইচ্ছা আমি অধ্যাপক হই।
–তোমার কি ইচ্ছা?
–আমি এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। বেঁচে থাকার জন্য দু-মুঠো পেলেই আমি খুশি। সঞ্চয়ের পাহাড় করলে মনের শান্তি নষ্ট।
–বলু, সবাই যদি তোমার মত ভাবতো তাহলে দুনিয়াটা বেহেশত হয়ে যেত। মমতা ভরা দৃষ্টিতে বলুকে দেখেন জেনিফার।

মন যা চায় তুমি তাইWhere stories live. Discover now