(২৬) অভিলাষ

245 2 0
                                    

“ক্ষার খুন খাসি খুশি আউর প্রীত মধুপান রহমত কহে দাবে না দাবে জানত সকল জাঁহা” কোন কিছু দাবিয়ে রাখা যায় না।

কথাটা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আড়ালে আবডালে ড.এমবিকে নিয়ে আলোচনা চলে, কেউ কেউ তার নাম দিয়েছে মৌসোম। মুখে মুখে ছড়াতে ছড়াতে ভার্সিটির সীমানা ছাড়িয়ে বাইরেও চলে কানাঘুষা।
গুলনাহারের কানেও পৌছায় বিষয়টা। গুলনাহার ইদানীং বাড়িতে আসেন কম। মুন্সিগঞ্জেই পড়ে থাকেন। আর অদ্ভুত অদ্ভুত কল্পনা করে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করেন।জিদ খারাপ নয় কিন্তু সব ক্ষেত্রে ভাল নয়।

বলদেবের পরীক্ষা হয়ে গেছে ফল প্রকাশের অপেক্ষা। ড.এমবির সঙ্গে দেখা হয় না আর। পাস করার পর ড.এমবির অধীনে থিসিস করবে বলদেব কথাবার্তা পাকা। ভার্সিটিতে থাকতে কয়েকবার তার বাড়িতে গেছে, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উপকার হয়েছে বেশ। বলদেব লক্ষ্য করেছে ভদ্রমহিলার মধ্যে দিশাহীন এক ভাব। বলদেবের কথা মন দিয়ে শোনেন। অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা সেজন্য তাকে ঈর্ষা বশত নানা কুৎসা করে বলদেব জানে। পৃথিবী শব্দমুখর কিন্তু প্রয়োজনীয় শব্দ ছাড়া অন্য শব্দ উপেক্ষা করাই বাঞ্ছনীয়। বলদেব কু কথায় কান দেয় না।

বলদেব উপেক্ষা করতে পারে না মণ্টির আচরণ। কেন তার সঙ্গে এমন করছে ভেবে কষ্ট পায়। লাইব্রেরীতে কাটায় অধিকাংশ সময়। খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল। রুপনগর কলেজে দর্শনের অধ্যাপক নেওয়া হবে। দেবকে অধ্যাপক করা মণ্টির বাসনা। এখানে আবেদন করবে ঠিক করলো। লাইব্রেরী থেকে বাসায় ফিরছে এই সব কথা মনে মনে আন্দোলন করতে করতে। আম্মু জিজ্ঞেস করেন, মণ্টি তোমারে কিছু বলছে? দেব কিছু বলতে পারে না। আচমকা পাশে একটা গাড়ি এসে থামে। গাড়ির চালক ড.এমবি। জানলা
দিয়ে মুখ বের করে বল্লেন, ভিতরে এসো।

বলদেবের এই এক দোষ কারো মুখের উপর বিশেষ করে মেয়েদের মুখের উপর না বলতে পারে না। একটু ইতস্তত করে গাড়িতে উঠে বসে। ড.এমবি নিজেই ড্রাইভ করেন।

–পরীক্ষার পর তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা। আমাকে তুমি অপছন্দ করো?
–না ম্যাম, আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে।
–শোনো তুমি এখন আর আমার ছাত্র নও, আমাকে মৌ বলবে কেমন?
–আপনি বলেছেন থিসিস করাবেন।
–করাবো একটা শর্তে।
–কি শর্ত বলুন ম্যাম?

মন যা চায় তুমি তাইWhere stories live. Discover now