সময় হয়ে গেছে সবাই উসখুস করে। জেনিফার একমনে ফাইল দেখে যাচ্ছেন। সুলতান সাহেব সাহস করে ঘরে উকি দিল। জেনিফার মুখ তুলে বলেন, কিছু বলবেন?
–স্যার ছুটি হয়ে গেছে।বলদা তো নাই।মৃদু হেসে জেনিফার বলেন, ঠিক আছে আপনারা যান।
সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। একে একে সবাই বেরিয়ে পড়ল রাস্তায়। স্যারের মধ্যে কদিন ধরে একটা পরিবর্তন সবার নজরে পড়ে। বিশেষ করে স্কুল টিচার ধর্ষণ কাণ্ডের পর খুব ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। খবর কাগজে বেরিয়েছে সবাই ধরা পড়েছে।জেনিফার ফাইল বন্ধ করে রাখেন, আর ভাল লাগছে না।তার টেবিলে আগে কখনো এত ফাইল জমা হয়নি। কাজ ফেলে রাখা তার অপছন্দ। আয়েশি হয়ে পড়ছেন? বলুকে বলেছেন তার সঙ্গে দেখা করে যেতে, কখন ফিরবে কে জানে। জহিরুল সাহেব জানিয়েছেন,
এই সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পত্র পেয়ে যাবেন গুলনাহার এহসান। এসব নিয়ে আর ভাববেন না, যতদুর সম্ভব করেছেন।অটোরিক্সা থামার শব্দ পেয়ে গুলনাহার মুখে একটা নিস্পৃহভাব এনে দরজা খুলে দিল। তারপর নিজের ঘরে এসে একটা বই নিয়ে বসে। বলদেবকে নিয়ে নুসরাত ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গুলনাহারের ঘরে গিয়ে বলে, মণ্টি আপা এর নাম দেব। ম্যাম এর কথা
বলেছিলেন।
–নুসরাতের অফিসে তুমি পিয়নের কাজ করো?
–জ্বি।
–আমাকে বিয়ে করতে চাও?
–জ্বি।
–দয়া করার ইচ্ছা হল কেন?বলদেব মুচকি হাসে। নুসরাত অস্বস্তি বোধ করে। বাড়িতে ডেকে এনে এধরনের আলাপ তার পছন্দ হয়না। একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলে, দেব আপনি বসুন। বলদেব বসে।
–হাসো কেনো?
–জ্বি,আমার সেই যোগ্যতা নাই। দয়া নীচের মানুষরে উপরের মানুষ করে। আমি খুব ছোট মানুষ।
–আমার নাপাক শরীর জেনেও বিয়ে করতে চাও?
–ম্যাম,শরীর নাপাক হয়না। নাপাক হয় মন। আপনি শিক্ষিত মানুষ আপনারে বলা আমার শোভা পায় না।বিধাতা আমাদের একটু জীবন দিয়েছে রক্ষণা বেক্ষণের জন্য যাতে ময়লা না লাগে। সময় হলে আবার তা বিধাতাকে ফিরায়ে দিই। হিংসা দ্বেষ সংকীর্ণতা ময়লা আমাদের চারপাশে, সযত্নে তার থেকে প্রদীপ শিখার মত বাঁচাবার চেষ্টা করি। আমার মা বলতো বলা এমন কিছু করিস না যাতে জীবনটা ময়লা হয়ে যায়।
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।