(১০) ভোদাসন কপালভাতি

377 2 0
                                    

অফিসের কাছে এসে বলদেব দেখল রাস্তায় ভীড়ে ভীড়।ডিএমের কাছে কারা যেন ডেপুটেশন দিতে এসেছে।অফিসেও ঢিলেঢালা ভাব,অধিকাংশ টেবিল ফাকা সব ক্যাণ্টিনে গেছে। মিনু উসমানি ইশারা করে ডাকে। কাছে যেতে বলে,বলা চা খাবে?

হঠাৎ চা খাবে কিনা জিজ্ঞেস করছে কেন বুঝতে পারেনা।কিছু বলার আগেই মিনু বলল, তুমি ক্যাণ্টিনে গিয়ে দুই কাপ চা নিয়ে আসো।

এইবার বুঝতে পারে,ম্যাডাম ভদ্র তাই বলে নাই, বলা এক কাপ চা নিয়ে আসো। শিখা ঘোষ অত্যন্ত মেজাজী, ভদ্রতার ধার ধারে না।আবার মোজাম্মেল সাহেবের সামনে হাত কচলায়। যারা হাত কচলায় তারা সুবিধে জনক হয়না।বলদেব ক্যাণ্টিনে চলে গেল চা আনতে। মিনুর মধ্যে জমে আছে অনেক ক্ষোভ।তাই অকারণ রেগে যায়,লোকরে উৎপীড়ণ করে বিকল্প উপায়ে সুখ পাওয়ার চেষ্টা করে।তৈয়ব আলি বলেছিল দুদিন আসবে না,মানত না কি চড়াতে যাবে। তিনদিন হয়ে গেল এলোনা। কাল ছুটি ফেরার পথে একবার খোজ নেবে কিনা ভাবে।স্টেশনের কাছে কোন বস্তিতে থাকে বলেছিল।

–কি ভাবছো?

মিনু উসমানির ডাকে সম্বিত ফেরে বলে,না কিছু না। কাল তো আপনাগো ঈদ। খুব খাওন-দাওন, তাই না?

মিনু উসমানি হেসে বলে,তুমি আসো তোমারেও খাওয়াবো।

খাওয়ার কথা শুনে বলদেব বিচলিত হয়। বাড়িতেও এলাহি ব্যবস্থা না থাকলে আম্মু রাগ করবেন।

–কাল সম্ভব না,বাড়িতে ম্যালা কাজ।
–তোমার বাড়ি কোথায়?
–দারোগা বাড়ি চেনেন?
–সুলতান সাহেব তো সেইখানে থাকে।তুমি চেনো?
–জ্বি না, আলাপ হয় নাই।
–আলাপ নাই ভাল হয়েছে।লোকটা সুবিধের না।তৈয়ব তোমারে কিছু বলে গেছে?
–করম আলি ফকিরের বাড়ি গেছে। মানত ছিল।যাইতে আসতে দুই দিন লাগবে বলেছিল।
–এইসবে তুমি বিশ্বাস করো?
–বিশ্বাস ব্যক্তিগত ব্যাপার।

মিনু উসমানির ভাল লাগে সরল মানুষটার কথা।
সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ে বলদেব। আজ আর কাল দুইদিন পড়াতে হবেনা,তাড়া নাই। রাস্তায় সেই ভীড় নেই। স্টেশনের কাছে তৈয়বের বাড়ি চিনতে অসুবিধে হলনা।খাপরা চালের ঘর,ঘরের সামনে নিকানো উঠান।একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে।বাড়ির কাছে গিয়ে হাক পাড়তে ঘোমটায় মুখ ঢাকা একজন মহিলা বেরিয়ে এসে বলে,কারে চান?
–জ্বি আমি তৈয়বের অফিসে কাজ করি,সে বাসায় আছে?
–না সে কামে গেছে,কিছু বলতে লাগবে?
–আসলে বলবেন বলা আসছিলো।

মন যা চায় তুমি তাইNơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ