(৩১) পূনর্মিলন

361 1 0
                                    

সাধারণ হোটেল, দোতলায় দুইখান ঘর নিয়েছে সায়েদ। বেল টিপতে দরজা খুললো মুমতাজ বেগম। সায়েদের সঙ্গে অপরিচিত লোক দেখে দ্রুত সরে গেল। সায়েদ মজা পায় বলে, কি ভাবী চিনতে পারো নাই?
–কে আসলো রে? কে সায়েদ নাকি? বিছানায় শুয়ে রাহিমা বেগম জিজ্ঞেস করেন।

সায়েদ মায়ের কাছে গিয়ে বলে, আম্মু তোমার ব্যাটা আসছে।

বলদেব কাছে এগিয়ে গেল, ঘাড় ঘুরিয়ে বলদেবকে দেখে বলেন, বলা না? সাথে কে বউ নাকি? একেবারে পরীর মত দেখতে।

মুমতাজ অবাক হয়ে দেখে বলদেবকে, অনেক বদলে গেছে একেবারে চেনাই যায় না। বউ ভারী সুন্দর সিনেমা আর্টিষ্টের মত। বলদেব মুমতাজকে লক্ষ্য করে বলে, ভাবী কেমন আছেন?
–ভাল। আপনে মানে তুমি কেমন আছো?ছেলেরা মাঝে মধ্যে তোমার কথা বলে।
–ওরা কই?
–ফুফার কাছে আছে, টুনি আসছে তো।

গুলনাহার আড় চোখে মুমতাজকে দেখেন, দুজনের সম্পর্কটা বোঝার চেষ্টা করেন। বলদেব মণ্টির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, এই আমার বউ মণ্টি। এই বড় ভাইয়ের বউ।
–বিয়ের দিন দেখছি। মুমতাজ বলে।

সেদিনের কথা গুলনাহারের কিছু মনে নেই। রহিমা বেগমকে মনে আছে আবছা। সায়েদ বলে, আমি চা বলে আসছি।
–বলারে কিছু খাইতে দে। আহা মুখ শুকায়ে গেছে।রহিমা বেগম বলেন। গুলনাহার বুঝতে পারে উনি দেবের খাবার ব্যাপারটা এখনো মনে রেখেছেন। ঘর থেকে বেরিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ালেন গুলনাহার। দেবও সেখানে গিয়ে বলে, সবাই বলে, আমি খাইতে ভালবাসি।
–না না এখন না। গুলনাহার আপত্তি করেন।
–মণ্টি তুমি কোনদিন না চাইতে বলেছো খাও?

গুলনাহার এদিক-ওদিক দেখে বলেন, আচ্ছা খাও। কিন্তু বেশিক্ষন না।

দেব দু-হাত গুলনাহারের কাধের উপর রেখে মাথা নীচু ঠোটে ঠোট স্থাপন করে।

–উম-উম না না বলে গুলনাহার ঠেলে দিলেন দেবকে।ক্ষিধা মিটছে?
–না আরো বেড়ে গেল।
–বাড়লেও আমার কিছু করার নাই। গুলনাহার ঘরে ঢুকে এলেন।

ভিতর থেকে রহিমা বেগম ডাকেন, বলা কই, এদিকে আসো বাবা।
–মা কথা বলেন না। ডাক্তার আপনারে কথা বলতে নিষেধ করছে। মুমুতাজ আম্মুকে বলে।
–ছাড়ো তো ডাক্তারের কথা। মায়ে ব্যাটার সাথে কথা বলবে না?

মন যা চায় তুমি তাইWhere stories live. Discover now