এ্যাণ্টিবাইওটিক দিয়ে এখন ভাল আছেন রহিমা বেগম।দিন চারেক পর ছেড়ে দেওয়া হবে। আব্বু বলেছেন ইসিজি রিপোর্ট ভুল ছিল। কাল আসা সম্ভব না, মামুনকে এগিয়ে দিতে বিমান বন্দরে যেতে হবে। মণ্টির খুব প্রিয় মামুন। সেও আপাকে খুব ভালবাসে।
খাবার টেবিলে গল্প হল অনেক রাত অবধি। আম্মু মাঝে মাঝে কেদে ফেলছিলেন। ড.রিয়াজ চুপচাপ একেবারে নির্বিকার।
–ভাগ্যিস বিয়ের আগে আমি বিদেশ গেছিলাম। স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ড.রিয়াজ।
–আমি আপনার কাছে কিছু শুনতে চাইনি। নাদিয়া বেগম বিরক্তির সঙ্গে বলেন।মণ্টি আর মামুন চোখাচুখি করে হাসি বিনিময় করে। করিম কি বুঝলো কে জানে ফিক করে হেসে ফেলে। নাদিয়া বেগম ধমক দেয়, বলদের মত হাসিস কেন রে?দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।
করিম বেরিয়ে গেল। গুলনাহার দেবকে দেখেন, বলদ শুনে তার কোন ভাবান্তর হয় কিনা? কেননা মাঝে মধ্যে তিনিও দেবকে বলেন, বলদ। নাদিয়া বেগম পর মুহুর্ত্তে করিমকে ডাকেন, অ্যাই করিম কই গেলি?
–তুমি তারে বাইরে যেতে বলছো। ড.রিয়াজ বলেন।করিম ঢুকতে বলেন, চোখে দেখিস না, দেব কে ভাত দে।
–আম্মু ওরে আর ভাত দিবে না। গুলনাহার বলেন।দেব কোন কথার প্রতিবাদ করে না। খাওয়া দাওয়ার পর লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ে দেব। গুলনাহার উসখুস করেন। একসময় থাকতে না পেরে জিজ্ঞেস করেন, কি হলো ঘুমিয়ে পড়লে?
–না ঘুমাই নাই।
–আচ্ছা আমারে আর ভাল লাগে না?
–এই সত্য কবে আবিস্কার করলে?
–তা হইলে এমুন সুন্দরী বিবি পাশে থাকতে ভুস ভুস করে ঘুমান কেমনে?
–কি করবো জেগে বসে থাকবো?
–কিছু ইচ্ছা হয়না?
–খালি নিজের কথা না ভেবে যে আসছে তার কথা একটু ভেবো।গুলনাহার জোর করে নিজের দিকে টেনে বলেন, কি বলছো এদিক ঘুরে বলো আমি পেটে নিয়ে ঘুরছি আমি ভাবি না তুমি ভাবো? একটু থেমে আবার বলেন, আচ্ছা দেব আমাকে একটু আদর করতে ইচ্ছে হয় না?
–ইচ্ছে হবে না কেন কিন্তু–।
–ইচ্ছেরে দমন করে রেখেছো?দেবের মাথায় কথাটা ঝিলিক দিয়ে ওঠে, বলে,লুকায়ে কারো কথা শোনা পাপ।
–ঠিক আছে আর শুনবো না। তুমি আমার পিছন দিক থেকে একবার প্লিজ আমি পারছি না।
![](https://img.wattpad.com/cover/297039019-288-k235373.jpg)
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।