সকালে বহু খোজাখুজি করে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ডিএমের অফিসে গেল। অফিসের পিওন বলল বড়বাবু ডিএম বাংলোয় গেছেন,বসতে হবে। উনি আসতে আসতে ৯-১০ টা বাজবে।তাকিয়ে দেখল অধিকাংশ চেয়ার খালি।একজন সুবেশা মহিলা বসে কাজ করছে।
–অফিস কটা থেকে?বলদেব জিজ্ঞেস করে।
–অফিস ৯টা থেকে, তবে কাজ টাজ তেমন নাই বলে যে যার মতো আসেন। মাথার পরে মাইয়া মানুষ।অফিস চালানো কি যারতার কাম।
–ভাই আপনের নামটা জানতে পারি?
–তার আগে কন তো আপনে কি কামে আসছেন?
–আমি এই অফিসে বদলি হয়ে এসেছি।আমার নাম বলদেব।
–জে, আমার নাম তৈয়ব আলি।আমি আপনের চিনবার পারিনি। একটু আগে যা বললাম সেইটা আবার কাউরে বলবেন না।
–আপনে যা বললে সব হজম করে ফেলেছি।
–আসলে কি জানেন,পরিবার না থাকলে যা হয়–মানুষরে মানুষ বলে গ্রাহ্য করে না।এরে ধমকায় তারে ধমকায়–।
–সাহেবের সাদি হয়নাই?
–সাদি হবে না ক্যান?সাহেব না মেম সাহেব,এই রকম ম্যাজাজি বউ নিয়া কেউ ঘর করতে পারে? যাক গিয়া বড় মানুষের কথায় আমাগো কাম কি? যান আপনে ঐ ছিটে গিয়া বসেন।সাহেবের আসনের সময় হইয়া গেছে।বলদেব নির্দেশিত টেবিলের সামনে বসে। ধীরে ধীরে লোকজন আসা শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কেউ কেউ তাকে দেখছে।
–কি দরকার আপনার?
বলদেবের মনে হল তাকে উদ্দেশ্য করে সুবেশা মহিলাটি জিজ্ঞেস করছেন।তার দিকেই তাকিয়ে আছেন মহিলা।বছর পয়ত্রিশ/ছত্রিশ বয়স হবে।শ্যামলা রঙ শরীরের গঠন আকর্ষনীয়।বলদেব ইতস্তত করে বলে, আমাকে বলছেন?
–কাউকে খুজছেন?বলদেব উঠে গিয়ে বদলির নির্দেশটা এগিয়ে দিল।মহিলা পড়ে তার দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করেন।তারপর বললেন, এখানে বসো।
মহিলা একটা ফাইল বের করে কাগজ পত্র ঘেটে কি লেখালিখি করে একটা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে বললেন, ওইখানে অপেক্ষা করো।
বলদেব ঠিক কোথায় দাঁড়াবে তা নিয়ে দ্বিধায় এদিক-ওদিক দেখছে হঠাৎ নজরে পড়ে দূর থেকে ইশারায় তাকে ডাকছে তৈয়ব আলি।বলদেব কাছে যেতে বলে,চলো ভাই ক্যাণ্টিনে গিয়ে বসি।হক সাহেব শীঘ্রি আসবেন না,স্যারের সঙ্গে ভিজিটিং এ গেছেন।
BẠN ĐANG ĐỌC
মন যা চায় তুমি তাই
Tiểu Thuyết Chungআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।