(৭) দারোগা বাড়ি

387 1 0
                                    

রিজানুর আহমেদ সাহেব মারা গেলেন।ডাকসাইটে দারোগা পাঁচের কোঠায় এসেও দিব্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ।ডিউটি থেকে ফিরে রাতে বিবির হাতে রান্না করা চিতল মাছের পেটির ঝোল দিয়ে পেট ভরে তৃপ্তিকরে খেলেন।রহিমা বিবির রান্নার হাত ভারী চমৎকার। ঢেকুর তুলে একটা মোদকের ডেলা মুখে পুরে জলজ্যান্ত মানুষটা বিবিকে নিয়ে শুতে গেলেন। পাশের ঘরে ছেলে মহিদুলের সংগে পাল্লা দিয়ে এই বয়সে বিবির সঙ্গে যা যা করার সবই করলেন।জোয়ান ছেলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া এই বয়সে সাধ্য কি?দারোগা সাহেব নামাজ আদায়ে একদিন ভুল হলেও বিবিরে রমণ করেন নিয়মিত। হায়েজ হলেও বিরতি নাই।একটা নেশার মত।

মহিদুল ইতিমধ্যে দুই বেটার বাপ।একটাকে এ বছর প্রাইমারিতে ভর্তি করেছে আর একটা এখনো বাপের মত মুমতাজের দুধ খায়।

–আপনে আর কতদিন চালাইবেন,এখনো আপনের ইচ্ছা মরে নাই?স্বামীরে বুকের উপর নিয়ে রহিমা বেগম জিজ্ঞেস করে।
–যতদিন ইন্তেকাল না হয়,কেন তোর ভাল লাগে না?
–আমি কি সেই কথা বলেছি? তবে আগের মত সুখ পাইনা।
–তোর এখন একটা জোয়ান দরকার–।
–তোওবা তোওবা।আপনের মুখের কোন রাখঢাক নাই।যা মুখে আসে কন।

কথা বলতে বলতে রিজানুরের তখন চরম অবস্থা,দাতে দাত চেপে হি-ই-ই-ই করে গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে বিবিকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর একটু স্থির এবং ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলতে থাকেন। স্বামীর পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে রহিমা বলে, আপনের হয়ে গেছে?
–কেন বুঝতে পারিস নাই?
–অখন খুব কম বের হয় ভাল মত টের পাইনা।

সকালবেলা রহিমাবিবি ঘুম থেকে উঠে গায়ের আউলানো কাপড় চোপড় ঠিক করে পাশে স্বামীর দিকে তাকিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ে। গায়ে হাত দিয়ে দেখেন অসাড় দেহ হাতের তালু উলটে নাকের নীচে নিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন।বুকের মধ্যে ধক করে ওঠে,তার কপাল পুড়েছে। চিৎকার করে ছেলেকে ডাকেন, দুলু মিঞা-আ-আ।

মার চিৎকারে মুমতাজকে বুক থেকে ঠেলে নামিয়ে দিয়ে মহিদুল উঠে বসে বিছানায়। বাড়ি শুদ্ধু লোকজন উঠে পড়ে। ডাক্তার ডাকা হয়,ডেথ সার্টিফিকেট লিখে ডাক্তার বিদায় নিলেন।রিজানুর কথা রেখেছে ইন্তেকালের কয়েক মুহূর্ত আগেও বিবির সাথে সহবাস করে গেছেন।

মন যা চায় তুমি তাইOnde histórias criam vida. Descubra agora