ডিএম সাহেবা নিজের অজ্ঞাতসারে বলদেবের কাঁধে হাত রেখে ধীর পদক্ষেপে সিড়ি ভেঙ্গে তিনতলায় উঠতে থাকেন। বলদেব বুঝতে পারে ম্যাডাম খুব ক্লান্ত।তিনতলায় উঠে বলদেব বলে,ম্যাম, আপনি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। একটু বিশ্রাম করেন।
জেনিফার আলম লজ্জিত হয়ে হাত সরিয়ে নিয়ে হাসলেন। মজা করে বলেন, তুমি ম্যাসেজ করে দিলে আরাম হবে না?
–জ্বি,ম্যাসেজ করলে শরীরের মাংসপেশি চাঙ্গা হয়।ওদের দেখে নুসরাত এগিয়ে আসে।জেনিফার বলেন, মণ্টি আপনি ঘাবড়াবেন না। একটা শুয়োর ধরা পড়েছে বাকীরাও ধরা পড়বে।কে ধরেছে জানেন?
গুলানাহার চোখ তুলে তাকায়।
–বলদেব ধরেছে। কিছুই হয়নি এটা একটা এ্যাক্সিডেণ্ট, সবার জীবনেই হতে পারে।টেক ইট ইজি।
গুলনাহার বলদেবের দিকে তাকায়,মুখে কৃতজ্ঞতার মৃদু হাসি।সেই সময় যদি এই মানুষটা তার পাশে থাকতো তাহলে হয়তো শয়তান গুলো কাছে ঘেষতে সাহস করতো না। দোজখের শয়তানরা নেক ইনসানের ছায়া এড়িয়ে চলে।
–নুসরাত বেলা হল।ডাক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে, রিপোর্ট এলে কাল ছেড়ে দেবে।বন্ধুকে বাড়ি নিয়ে যেও।এখন আমি আসি?
হাতজোড় করে বলদেব বলে,হ্যা ম্যাম আপনি কোন চিন্তা করবেন না, স্যার আছেন।আমরা আসি?
গুলনাহার এহসানের দৃষ্টিতে মুগ্ধতার আলো ছড়িয়ে পড়ে।
সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে জেনিফার আলম জিজ্ঞেস করেন,আচ্ছা বলু একটা সত্যি কথা বলবে?
–ম্যাম আমার দোষ বানিয়ে কথা বলতে পারিনা।
–আমাকে কি খুব রাগী মনে হয়?বলদেব চুপচাপ নামতে থাকে।
–যা সত্যি তুমি বলো,আমি কিছু মনে করবো না।
–ম্যাম আপনারে আমার মোটেই রাগী মনে হয়না।
–তাহলে সবাই আমাকে ভয় পায় কেন?
–সেইটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। গরীবের মুখে মানায় না তাই একটা কথা বলছি না।
–তুমি বলো,তোমার কথা আমার ভাল লাগছে।
— যার খাওন জোটে না সে কখনো রাগ করে বলেনা”ভাত খাবোনা।”যে জানে না-খাইলে সবাই তারে সাধাসাধি করবে সেই রাগ করে বলে ,”ভাত খাবো না।”আপনের রাগের গুরুত্ব আছে তাই রাগ করেন।আমার মা বলতো “বলদা ক্রোধে বোধ নষ্ট হয়।”চোখে
আলো পড়লে চোখ ধাধিয়ে যায় পথ দেখা যায় না।আলো ফেলতে হয় পথে।
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।