আয়নার সামনে বস ফারজানা ভাবে,রফিকের আসার কথা ছিল কিন্তু এলোনা তো?একটু চিন্তিত হয়। সময় আছে এখনো।বলাদা বলে তার শরীর নাকি ভারী,বুকের উপর স্তনজোড়া বেশি বড় না,কমলা লেবুর মত।ঘাড় ঘুরিয়ে পিছন দেখে পাছাটা বেশ বড়।বলদা বেশ যত্ন করে টিপছিল,আরাম হয়েছে। রফিক এই শরীর নিয়ে কেমন হাভাতেপনা করে কিন্তু বলদাটার কোন তাপ উত্তাপ নাই।দুই হাতে পাছা ছানতেছিল যেন লুচি ভাজার ময়দা ডলতেছে। বেশিক্ষন থাকবে না মেলায়, রফিক যদি এসে পড়ে? না আসলে মায়ে জ্বালিয়ে খাবে,ভাববে নিশ্চয়ই কোন গোলমাল হয়েছে।
সাজগোজ শেষে তাকিয়ে দেখল রহিমা বেগম ঘুমে কাদা।ডাকাডাকি না করে সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে এল ফারজানা। বাগানে বলদার ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখে আলো জ্বলতেছে।আলো জ্বালায়ে কি করে?
কৌতুহল বশত এগিয়ে গিয়ে দেখল,দরজা ভেজানো কোন সাড়াশব্দ নেই।জানলা দিয়ে ভিতরে তাকাতে চোখ আটকে যায়।পা মেলে চিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।একেবারে পোলাপানের মত, লুঙ্গি উঠে গেছে হাটুর উপর,আর একটু উঠলে ল্যাওড়াটা দেখা যেত।পেট যেন চাতালের মত কে বলবে একটু আগে কি খাওয়াই না খেয়েছে। সন্তর্পনে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।
নীচু হয়ে ডান হাতে লুঙ্গিটা উপরে তোলে। মরা শোল মাছের মত নেতিয়ে আছে ল্যাওড়া।মুণ্ডিটা রফিকের মত না, চামড়ায় ঢাকা।দু-আঙ্গুলে চামড়া উপরের দিকে তুলতে লাল টুকটুকে পাকা টমেটোর মুন্ডিটা বেরিয়ে পড়ল।
বলদেবের ঘুম ভেঙ্গে যায়।তাকিয়ে ফারজানাকে দেখে জিজ্ঞেস করে, আপা কি করতেছেন?
–তোমার ঐটা দেখতেছি।
–যাঃ,আপনের খালি দুষ্টামি।দুলাভাই আসে নাই?
–না, এখনো আসে নাই।
–কই যান নাকি? সাজছেন, ভারী সুন্দর দেখায় আপনেরে।ভাল লাগে প্রশংসা। ফারজানা মেলায় যাচ্ছি বলতে গিয়েও বলেনা।মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসতে সে বলে,ইচ্ছা ছিল মেলায় যাবো।কিন্তু মাজায় যা ব্যথা তার উপায় নাই।
–ব্যথা কমে নাই?উদবিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে বলদেব।
–ম্যাসেজ করার পর একটু কমেছিল,রাতারাতি কমে নাকি?
–আবার ম্যাসেজ করে দেবো?
–তা হলে তো ভাল হয়। ফারজানা দুহাত তুলে জামা খুলতে গেলে বলদেব বলে, আপা কি করতেছেন?
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।