জানলা দিয়ে ভোরের আলো এসে পড়েছে বিছানায়। ঘুম ভেঙ্গে উঠতে গিয়ে বাধা পেয়ে দেখলেন, একটা পুরুষ্ট হাত তাকে চেপে রেখেছে। নিজের দিকে চোখ পড়তে লজ্জায় রক্তিম হলেন গুলনাহার। দেবের বাহুবন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে আয়নার সামনে দাড়ালেন। মনে
পড়ল কাল রাতের কথা, দেবের গায়ে ইবলিশের মত শক্তি। সেদিন যদি দেব থাকতো তাহলে ছেলেগুলোর যে কি দশা করতো ভেবে মজা পান। বাথরুমে গিয়ে সাবান মেখে গোসল করলেন। একটা নাইটি গলিয়ে রান্না ঘরে ঢুকে চায়ের পানি চাপিয়ে দেবকে ডাকতে গিয়েও ডাকলেন না, লজ্জা করল। একটা চাদর এনে চাপা দিলেন। রান্না ঘর থেকে হাক দিলেন, ওঠেন, চা হয়ে গেছে।চায়ের পানি ফুটছে। স্কুল থেকে ফিরে আজ বাড়ি যাবেন। আব্বু বিয়ের কথা বলেছিলেন কিন্তু বেশি পীড়াপিড়ি করেন নি। ভেবে অবাক লাগে এত নিশ্চিন্ত থাকেন কি করে? একটা কথা আছে কন্যাদায় গ্রস্ত পিতা, আব্বুকে দেখে তা মনে হয় না। মনে হচ্ছে দেব উঠেছেন,
সাড়া পাওয়া যাচ্ছে উকি মেরে দেখলেন লুঙ্গি পরেছেন।এবার সামনা সামনি হওয়া যায়। খাবার আর চা নিয়ে প্রবেশ করলেন গুলনাহার।-মনে আছে তো আজ বাড়ি যাবো?
-মণ্টি কাল কষ্ট হয়নি তো?
-কষ্ট কেন হবে? এত কথা বলেন কেন? প্রথম দিনেই কিছু হোক আমার ইচ্ছা না।
-কি ইচ্ছা না?
-কিছু না, বলদা কি সাধে বলে?
-মণ্টি আমার পাশে একটু বসবে?
-রান্না করবে কে? সারা রাত একসাথে শুয়েছিলাম তাতে হয়নি? চা খেয়ে গোসল করেন আমি রান্না ঘরে যাই। স্কুল আছে না?দেবকে খাইয়ে স্কুলে বেরিয়ে গেলেন গুলনাহার এহসান। বেলা বাড়ে, একা একা দেবের সময় কাটেনা। স্কুল থেকে ফিরে তাগাদা দেন গুলনাহার। ব্যাগ রেখে বাথরুমে ঢুকলেন। দেব চুপচাপ বসে থাকে, কি পরবে ঠিক করতে পারে না। বাথরুম থেকে বেরিয়ে গুলনাহার অবাক, এখনো রেডি হন নাই?
-তুমি বললে রেডি হতে, কি পরবো তুমি বলেছো?
গুলনাহারের ভাল লাগে দেবের এই নির্ভরতা। মুখে বলেন, সব আমাকে করতে হবে?একপ্রস্থ জামা-প্যাণ্ট বের করে দিলেন, নিজের কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে। গুলনাহার দেখলেন খুব স্মার্ট লাগছে দেবকে। তার ইচ্ছে দেব কোন কলেজের অধ্যাপক হোক। ওর একাডেমিক ক্যারিয়ার ভালই অসুবিধে হবার কথা নয়।
YOU ARE READING
মন যা চায় তুমি তাই
General Fictionআমাদের আশেপাশের সমাজের অন্যরকম একটা উপন্যাস। প্রেম ভালোবাসা পরোপকারিতা পরকীয়া সবই পাবেন, সাথে বিশেষ যৌনতার মিশেল। ১৮+ ।