-"সাফায়েত....এইযে তোমার বেতন।"
-"শুকরিয়া আন্টি। আজ আসি তাহলে।"সাফায়েত বের হতে হতে থমকে দাঁড়ালো একটা দোকানের পাশে। অনেকদিন বাইরের ভালোমন্দ কিছু খাওয়া হয়নি। টাকা ও তো থাকেনা তেমন যে খাবে! যা ভাবা তাই কাজ। ভেতরে ঢুকে খালি নিজের জন্য অর্ডার করতে ও কেমন যেনো লাগছে। কখনো একা আসেনি সে, হারুনসহ এসেছে। বসে না থেকে জায়গাটা খালি করে এসে বেশ কিছু কাবাব আর লুচির অর্ডার দিলো। ফোকলা দাঁত হোটেলের মালিকের। ফোকলা দাঁতের হাসি হেসে বললো,
-"ভাই লটারি লাগছে? ম্যালাদিন পরে আইলেন। তাও এত্তডি অর্ডার দিলেন আইসা। ব্যাপার কি ভাই?"
-"ব্যাপার কিছুনা মনসুর ভাই। তাড়াতাড়ি খাবারটা দিতে বলেন।"ফোকলা দাঁতের মনসুর আরো কিছুক্ষণ অকারণে ঘ্যানঘ্যান করে নিজ থেকেই চুপ হয়ে গেলো। যাওয়ার সময় সাফায়েত বললো,
-"মনসুর ভাই, আপনার কর্মচারীদের বেতন বাড়ায়েন। তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করবে। আর আপনি একটু কম কথা বইলেন। ভ্যাজরভ্যাজর করে মাথায় পোকাই তুলে দিলেন।"
সাফায়েতের কথায় মনসুর আলী থতমত খেয়ে ফেললো।
.
বাসার সামনে এসেই সাফায়েত পা টিপে টিপে খুব সাবধানে দোতলায় উঠে এলো। চাচীজান দেখলে রেহাই নেই আর। বেল বাজাতেই তৃণা এসে দরজা খুলে দিলো।
-"কেমন আছো তৃণা?"
-"ভালো আছি সাফায়েত ভাই। আপাকে ডেকে দেবো?"
-"না ডেকো না। আমি ভেতরে আসি? না মানে সমস্যা হবে কি গেলে?"তৃণা লজ্জা পেয়ে বললো,
-"স্যরি সাফায়েত ভাই। খেয়ালই করলাম না আপনি যে বাইরে। আর আপনি আসলে সমস্যা হবে কেন? কি যে বলেন!"
-"আসলে টিউশনি থেকে ফিরছিলাম তো। ভাবলাম একদিন বিকেলে ভারী নাস্তা করি আমি তুমি আর তারান্নুম! ভালো হবে না ব্যাপারটা?"তৃণা কি যেন ভাবলো। এরপর বললো,
-"অনেক ভালো হবে। আপনি বসেন, আমি আপাকে ডাকছি।"
সাফায়েত এসেছে শুনে তারান্নুম তাড়াহুড়ো করে ওড়নাটা গায়ে পেঁচিয়ে চলে এলো। এলোমেলো চুল, রান্না করতে গিয়ে কামিজটায় ও দাগ লেগে গিয়েছিলো। সেটা ও পাল্টানোর কথা মাথায় আসেনি তার। সাফায়েত এসেছে শুনেই লাফাতে লাফাতে চলে এসেছে। এখন মনে হচ্ছে কাজটা ঠিক হয়নি। বিব্রত কণ্ঠে সে বললো,
ESTÁS LEYENDO
দুই মঞ্জিলের গল্প(completed ✅)
Romanceসময়কাল ২০০০ সনের আশে পাশেই। কিছু সুখবতীদের গল্পের মাঝে ঢাকা পড়ে যায় দুঃখবতীদের গল্পগুলো। দুই দুঃখবতীর আপ্রাণ চেষ্টা এক হওয়ার। কিন্তু হায়, কেউ কি এটুকু ও বুঝেনি যে সমাজ ভালোবাসাকে খুনের মত পাপ বানিয়ে দেয়? যতদিন ঘনায়, ততই কেন দুঃখদের ভেলা চেপে বসে দুঃ...