পর্ব ৩০

123 8 0
                                    

স্নিগ্ধ শুভ্র সকালের কথা মনে উঠতেই সবার কমবেশী দুটো জিনিসের কথাই মাথায় আসে। একটি নতুন দিন আর এক কাপ চা! কিন্তু তা না হয়ে সকাল সকাল বাসার সামনে একটা মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে যেকারো বুকেই কম্পন ধরে যাবার কথা। অনেকের আত্মা ও কেঁপে উঠে। অস্বাভাবিক বিষয় এসব। নাদিম ও অবস্থা ঠিক তাদের মতোই। ভয়ে তার আত্মা শুকিয়ে আসছিল । কিন্তু যখন জানতে পারল, এই মেয়ে তার বন্ধুর একমাত্র শালিকা তৃণা, তখন বেশ বড়সড় ধাক্কাই খেয়েছিল সে। প্রথমে বড় বোন এসেছিল ও বাড়ি থেকে পালিয়ে, আর এখন ছোট বোন! একজন ভুল করলেও দু'জন মানুষ একই ভুল কখনোই করেনা। নাদিমের অনেক জানতে ইচ্ছে করছিল সবকিছু। কি হয়েছিল ও বাড়িতে তারান্নুম আসার পর থেকে? সে এখানের ঠিকানা পেল কীভাবে? এসেছে কখন? তারান্নুম এখানে থাকতে পারে এই খবর তাকে কে দিয়েছে? আর সে এভাবে কাঁদছে কেন? সব! সব প্রশ্নেরা গাঁট বেঁধেছে মন মস্তিষ্কে। একবার ভেবেছিল ফোন করে তারান্নুম-সাফায়েতকে খবর দিবে তৃণার। কিন্তু এখন বললে চিন্তায় পড়ে যাবে দুজনেই! ঘুরে আসলে জানতেই পারবে তারা।

চুলাটা বন্ধ করে দিয়ে নাস্তা হাতে বেড়িয়ে গেল নাদিম । তৃণার দিকে একপলক তাকিয়ে ভীষণ মায়া হল তার। মেয়েটা নিঃশব্দে কেঁদেই যাচ্ছে। চোখের পানি থামবার জো নেই।

-"তৃণা?"

মেয়েটার আচরণে নেই কোনো হোলদোল। চোখের পানি একবার গড়াতেই আবারো ভরে উঠছে দু'চোখের কোণ। নাদিম বুঝছেনা কেন অবিরাম কেঁদে যাচ্ছে মেয়েটা। কিছু বলছে ও না, তাই কিছু বোঝা ও বড়ই কষ্টকর। শান্তনা দেয়াটা বড়ই খারাপ কাজ মনে হয় নাদিমের। শান্তনা দেবে কি জিজ্ঞেস করবে ভাবতে ভাবতে বলল,

-"দেখো তুমি এভাবে কাঁদলে তো হবেনা। কি হয়েছে ত আমায় না বললে বুঝবো কি করে?"
-"কিছুই হয়নি। সাফায়েত ভাই কোথায়? দেখছিনা কেন উনাকে?" তৃণা চোখের পানি মুছে জিজ্ঞেস করল।
-"সাফু? ও তো একটু কাজে গেছে। সিটির বাইরে। কাল এসে যাবে।"

তৃণা একবার ভাবল সাফায়েত কি এমন জরুরী কাজ থাকতে পারে যার জন্ত শহরের বাইরে যতে হল। কিন্তু একা আছে একটা লোকের সাথে, এটা ভেবে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েই সে জিজ্ঞেস করল,

দুই মঞ্জিলের গল্প(completed ✅)Où les histoires vivent. Découvrez maintenant