লাজুক লাজুক নয়ন তার মানছেনা আজ বাঁধা! কৌতূহল ভরা নয়নে সে দেখছে সামনে থাকা নন্দিনীকে। শাহনাজ হেসে দিতেই তারান্নুমের ধ্যান ভেঙে গেল। তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে সবকিছু। 'এত সুন্দর একটাা পুতুল কি না সাফায়েত ভাইয়ের বন্ধু?' তার মন প্রশ্ন করে উঠল। নন্দিনী তার শিহরণ বয়ে আনা হাসি দিয়ে বলল,-"আমাদের দেখে খুশী হচ্ছেনা বুঝি তারান্নুম?"
লজ্জা পেয়ে তারান্নুম বলল,
-"না না! তা হবে কেন? বরং কেউ না আসায় আমার মন খারাপ ছিল বেশী।"
-"মন খারাপ করো না। একটা না একটা ব্যবস্থা করবো আমরা তোমাদের জন্য।"এটুকু বলে নন্দিনী শাহনাজের দিকে তাকাল। দুই বান্ধবী একে অপরের দিকে চেয়ে হেসে ফেলল। তাদের মনে কি চলছে তার ধারণা নেই তারান্নুমের মনে। শাহনাজ এগিয়ে এসে তারান্নুমের হাতে সাদা একটা খাম ধরিয়ে দিল। অবাক চোখে তারান্নুম তাকিয়ে বলল,
-"এটা কেন?"
-"এটা সাফায়েত দিয়েছে তোমার জন্য। তোমরা তো দেখা ও করতে পারছোনা, কথা ও বলতে পারছো না৷ তাই চিঠিই একটা উপায় তোমাদের কথা বলার।"সাফায়েত দিয়েছে কথাটা যেন আপনা ও আপনিতেই মেয়েটার মুখে খু্শীর জোয়ার এনে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তার চোখে মুখে হাসির খলখলানি স্পষ্ট। সে চিঠি খোলার আগেই নন্দিনী তার হাত থেকে চিঠিখানা নিয়ে ফেলল।
-"আহা মেয়ে! এত তাড়া কিসের? আমরা গেলে পড়বে এই চিঠি। আর আমরা যাওয়ার সময় তোমার চিঠি সাফুর জন্য নিয়ে যাব। ঠিকাছে?"
চিঠি পাঠাতে হবে শুনে তারান্নুম মুখ কালো করে বলল,
-"আমার কাছে তো এখন কোনো চিঠি লেখা নেই উনার জন্য। আমি কীভাবে দেবো সাফায়েত ভাইয়ের জন্য চিঠি?"
শাহনাজ আর নন্দিনী হেসে উঠল তারান্নুমের চিন্তিত মুখশ্রী দেখে। নন্দিনী তারান্নুমের হাত দু'টো নিজের কোলে এনে বলল,
-"এই মেয়ে! মুখ কালো করছো কেন হ্যা? আমরা কি বলেছি এখনই চলে যাব? তুমি চিঠি লেখো, আমরা আছি যতক্ষণ না তোমার চিঠি লেখা শেষ হয়। লেখা শেষ হলে তবেই উঠব আমরা!"
أنت تقرأ
দুই মঞ্জিলের গল্প(completed ✅)
عاطفيةসময়কাল ২০০০ সনের আশে পাশেই। কিছু সুখবতীদের গল্পের মাঝে ঢাকা পড়ে যায় দুঃখবতীদের গল্পগুলো। দুই দুঃখবতীর আপ্রাণ চেষ্টা এক হওয়ার। কিন্তু হায়, কেউ কি এটুকু ও বুঝেনি যে সমাজ ভালোবাসাকে খুনের মত পাপ বানিয়ে দেয়? যতদিন ঘনায়, ততই কেন দুঃখদের ভেলা চেপে বসে দুঃ...