পর্ব ৩২-অন্তিম পর্ব

259 23 7
                                    

জীবন যায় অজস্র ঝড় ঝাপটার মাঝে দিয়ে। সেই ঝড়ের কবলে পড়ে কেউ বাঁচে তো কেউ বা মরে! কেউ বা খাবি খেতে খেতে উঠে আসে ডাঙায় তো কেউ বা হাল ছেড়েই দেয় বাঁচার। কিন্তু সেই ঝড়ের কবলে পরেও বেঁচে থাকাটা বিজয় লাভ করার মতো। আর বিজয়োল্লাস করা তখনই সাজে যখন মন বলে, "হ্যাঁ তুমিই বিজয়ী!' সর্বনাশা ঝড়-জোয়ার আসবেই জীবনে, এরপর উদয় হবে এক সূর্যের। যার কিরণে থাকবে শুধুই সুখ সুখ। সেই সুখ ছড়াবে সারা পৃথিবীতে। এর নামই তো জীবন, তাইনা?

বিগত দুই বছরে পালটে গেছে চট্টগ্রাম অনেকটাই। যোগ হয়েছে নতুন নতুন ছোট বড় জাহাজ বন্দরনগরীর সমুদ্রে। উন্নতি ঘটেছে শিক্ষাব্যবস্থায়। পাকাপোক্ত সড়ক হতে শুরু করেছে শহরের অনেক জায়গায়। ছোট বড় রেস্টুরেন্ট, শপিং মল তৈরী হত্যে শুরু করেছে নগরবাসীদের সুবিধার্তে। গাছপালা লাগানোর আহ্বান ঘরে ঘরে পৌঁছুচ্ছে। প্রাণ পাচ্ছে যেন দেশ ধীরে ধীরে। কিন্তু দিনকে দিন নোংরা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যাচ্ছে শহরের যুবকেরা। আজ এই শহরে মিছিল তো কাল ওই শহরে। সেইসবে বিরক্ত - আতঙ্কে দেশবাসী। দামাল যুবকদের দমাবার সাহস ও নেই যেন কারুর হাতে, এমনকি তাদের পরিবারের ও না। দিনশেষে সবারই যেন একটাই চাওয়া- এক টুকরো নিরাপত্তা!

-"যাহ রে সৌম্য! কি যা তা বলছিস। না না, ওমন কিচ্ছু নয়।" আকরাম জোর গলায় বলল হাসতে হাসতে।

পরনের পাঞ্জাবীর হাতা ফোল্ড করে রাখায় সুদর্শন বেশীই লাগছে তাকে অন্যদিনের তুলনায়। চুলে একবার হাত বোলালে তো কথাই নেই! নেশা বোধহয় ইহাকেই বলে! একবার দেখবে, আর ভাববে শতবার।বন্ধুরা সবাই হোহো করে হেসে উঠল আকরামের নাকুচি দেখে। সৌম্য হাসি চেপে গম্ভীর মুখে বলল,

-"এই মোহাম্মদ, বল দেখি এই হ্যাংলাকে ভার্সিটিতে সবাই কি বলছিল?"

আকরাম আগে আগেই বলে উঠল,

-"কি বলবে হ্যাঁ? কিছু নেই সেখানে আবার কিসের অত বলাবলি?"
-"না না আকরাম! সৌম্য ঠিকই বলছে। ওইদিন রাকিব স্যার দেখে ফেলেছে তোকে আর স্নিগ্ধাকে একসাথে, লাইব্রেরিতে। এরপর মাথা নেড়ে নেড়ে বলেই তো গেল, 'আজকালকার ছেলেমেয়েদের মাঝে ভদ্রতাই নেই!'" ব্যাঙ্গ করে বোঝাল মোহাম্মদ।

Vous avez atteint le dernier des chapitres publiés.

⏰ Dernière mise à jour : Jul 18, 2020 ⏰

Ajoutez cette histoire à votre Bibliothèque pour être informé des nouveaux chapitres !

দুই মঞ্জিলের গল্প(completed ✅)Où les histoires vivent. Découvrez maintenant