ডিসেম্বর প্রায় শেষের দিকে। জানুয়ারির আগমন খুব শীগ্রই। নিয়ম করে শহর গ্রামাঞ্চলে খেঁজুর রসের সাথে নতুন ধানের ভাপা পিঠা তৈরী হচ্ছে রোজ সকালে । সেই সাথে নতুন গুঁড়ের হরেক রকমের পিঠা ও। শীতের কনকনে ঠান্ডা বাতাস যেন মানুষের শরীরে থাকা প্রতিটি হাড়ে হাড়ে পৌঁছে যাচ্ছে। এবারে যে ঠান্ডা বেশ ভালোই পড়েছে তা বলতেই হয়! সারা দেশের মানুষ লেপ, রেজাই, তোশক, মাফলার, সোয়েটার, কোট আর যা ঘরে ছিল তাই যেন ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছে। গরমের দিনে রাতের বেলায় যেসব বৃদ্ধদের সম্মেলন রাত রাতভর চলমান থাকত, তার অবনতি ঘটেছে শীত মহাশয়ের আগমনে। তাতে অবশ্য তাদের বৃদ্ধা গিন্নীদেরই লাভ হয়েছে। নাহলে সবার অবস্থা 'ঘরের খেয়ে মাঠের মেষ চড়ানো'র' মতো হয়েছিল। রোজ ভোরবেলা দেখা মিলে ছোট ছোট শিশিরকণাদের। তারা বাস করে গাছের পাতায় পাতায়, কখনো বা মাটিতে শায়িত থাকা ছোট ছোট দূর্বাঘাসে অথবা গাড়ি আর বাড়ির জানালার কাঁচে! ছাদবাগান ও বাড়ির ছোট বড় টবে শোভা পাচ্ছে ক্যামেলিয়া, শীত-গোলাপ, ডালিয়া, ক্যাকটাস ফ্লাওয়ার সহ আরো হরেক জাতের ফুল। বেশ কিছু বাড়ির পাশে কূল গাছের দেখা মিলে। অসংখ্যা ফুলের কলিরা ফুটে গাছগুলোয় নতুন প্রাণ এনে দিয়েছে। খুব শীগ্রই ছোট কূলেরা বড় হবে, তাদের পাড়ার জন্য উঠেপড়ে লাগবে বাচ্চা বুড়োদের দল। হিড়িক পড়ে বাড়ির বাড়ির কূল নিয়ে এই শীতের মৌসুমে।
প্রতিদিনের মতো আজো তৃণা ফজরের নামায শেষ করে জানালায় পাশে গিয়ে দাঁড়াল। দো'তালা থেকে সামনের ছোট রাস্তাটা দেখা যায়। দুই একটা খালি রিক্সা যাওয়া আসা করছে ওই রাস্তায়। চার পাঁচজন মানুষের ও আনাগোনা স্পষ্ট সেখানে। রান্নাঘর থেকে কিছু একটার শব্দ আসতেই চমকে উঠল সে। এই সময়ে সে ছাড়া কেউ উঠেনা। দৌঁড়ে গিয়ে দেখে আকরাম কাজ করছে। সে বুঝে উঠেনি তৃণা তার পেছনে। এই ছেলেটার সাথে আজ তিনটা মাস তার ঠিকমতো কথা হয়না। খুব ইচ্ছে হয় তার কথা বলতে...খুব! এই ছেলেটা তার মনের এক বিশাল জায়গা দখল করে নিয়েছে। কথা না বলার কষ্ট চেপে সে প্রতিদিন কীভাবে ঘুমোয় তা শুধু সেই জানে। কতবার ডাক দেয়, কতবার বিরক্ত করে! কিন্তু ওই...সেদিনের রাতের পর থেকে আকরাম খুব একটা দরকার ছাড়া মেয়েটার সাথে কথা বলেনা। তৃণার বুক জ্বলে অঙ্গার কথা বলতে না পেরে প্রিয় এই ব্যক্তির সাথে। কিন্তু সেদিনের ঝাল মেটাতে আকরাম বেবাক কথা না বলে, তৃণার উপস্থিতি উপেক্ষা করেই কাটিয়ে দিচ্ছে ।
ŞİMDİ OKUDUĞUN
দুই মঞ্জিলের গল্প(completed ✅)
Romantizmসময়কাল ২০০০ সনের আশে পাশেই। কিছু সুখবতীদের গল্পের মাঝে ঢাকা পড়ে যায় দুঃখবতীদের গল্পগুলো। দুই দুঃখবতীর আপ্রাণ চেষ্টা এক হওয়ার। কিন্তু হায়, কেউ কি এটুকু ও বুঝেনি যে সমাজ ভালোবাসাকে খুনের মত পাপ বানিয়ে দেয়? যতদিন ঘনায়, ততই কেন দুঃখদের ভেলা চেপে বসে দুঃ...