পর্ব ০২

2.8K 66 3
                                    


নীরাকে দেখামাত্রই লাবণী প্রায় চিৎকার দিয়ে বলল,
-------এক্সিডেন্ট করেছিস....?? কখন??
ও মাই গড.. তুই তো হাটু পর্যন্ত উদাম করে অাছিস.. সিরিয়াস কিছু?? ওহো নীরা, অামি ভাবলাম তুই ফিরে রান্না করবি।.. তুই তো এক্সিডেন্ট করে সারা গা রক্ত মাখিয়ে এসেছিস...
দেখি কোথায় কেটেছে...??
লাবণী উৎসুক হয়ে নীরার পায়ের দিকে তাঁকালো।
-------অামিই রান্না করবো ভাবী। তুমি বরং ফ্রিজ থেকে একটু মুরগীর মাংস নামিয়ে রাখো!
-----তাঁর মানে তুই বেশি একটা অাহত হসনি??

নীরা বিরক্ত হয়ে লাবণীর দিকে তাঁকালো।
-----অামি অাহত না হওয়ায় তুমি কি খুব দুঃখ পেয়েছো,ভাবী???
লাবণী মৃদু হাসলো।
-----এত রক্ত কেনো??
-------একটা মানুষ কাটতে ইচ্ছে হলো; কেটে এলাম! প্রতিদিন শরবতের লেবু কাটি, অাজ মানুষ কাটতে ইচ্ছে হলো... মনের ইচ্ছা বলে কথা...
লাবণী হেসে ফেললো।
------মায়ের কি অবস্থা??
------ঘুমুচ্ছেন এখন। ডক্টর বলেছেন, প্রেশার ঠিকই অাছে, তবু কেনো তিনি এত দুর্বল বুঝতে পারছেন না। কিছু টেস্ট দিয়েছেন!

------অার ছোটভাইয়া???
লাবণী জবাব না দিয়ে, নীরার সামনে থেকে সরে গেলো!!

লাবণী নীরার বড় ভাবী। নীরার বড় ভাই মারা গিয়েছেন তিনবছর হতে চলল।কিন্তু লাবণীকে দেখলে এখনো নতুন বৌ বৌ লাগে! স্বামীমৃত্যু জনিত গভীর কষ্টের কোনো ছাপই যেনো তাঁর চেহারা স্পর্শ করতে পারেনি!

নীরা নিজের ঘরের দিকে যাবার অাগে ছোটভাইয়ার ঘরে উঁকি দিলো।শফিক কাঁদছে।মেয়েদের মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে! নীরা এগিয়ে গিয়ে বিছানায় বসলো,
------কিরে ভাইয়া, ভাবী অাজও অাসলো না!??
------না, বলে দিলো ফের যদি অামি তাঁকে অানতে যাই, অামি নাকি তাঁর মরা মুখ দেখবো।
শফিকের কান্না এবার বিলাপে পরিণত হলো! ------ভাবী বলেছে তো কি হয়েছে?? তুমি অাবার যাবে, গিয়ে তাঁর পা ধরে বসে থাকবে! অামার মনে হয় প্রতিদিন বিকেলে গিয়ে একঘন্টা করে তাঁর পা ধরে বসে থাকলে একমাসের মধ্যেই ভাবী ফিরে অাসতে রাজি হবে।
শফিক চোখ মুছে কৌতুহলী কণ্ঠে বলল,-------সত্যি বলছিস?? পা ধরে বসে থাকবো??
------হুঁ! বড়লোকের মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কাবু করে বিয়ে করেছো, কষ্ট তো করতেই হবে একটু!!
------তোর ভাবী যদি অাবার পুলিশে দেয় অামায়...??
------দিলে দিবে।একবার তো তোমার জেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অাছেই।অত কষ্ট অার হবে না।

হলিডেWhere stories live. Discover now