পর্ব ০৩

2.5K 58 1
                                    


ডিনারে বসে তামিম বিরক্ত মুখে বলল,
-----অামি শুধু স্যূপ বলেছি মা, তাও তুমি এতকিছু করলে? ডিসগাস্টিং...
সেলিনা ছেলের কথার জবাব দিলেন না।
------অপচয়ের একটা লিমিট থাকা দরকার!
টুয়েন্টি অাইটেমস না হলে তোমার...
সেলিনা
ছেলেকে চোখ ইশারায় থামতে বললেন।
----বাড়ি ভর্তি চাকর বাকর, একদম বকবি না অামায়। চুপ.....
------চাকর বাকর কথাটা বলতে তোমায় অন্তত অামি হাজারবার নিষেধ করেছি মা.. তুমি কেনো যে??

সেলিনা ছেলের ধমকাধমকিতে একটু ও রাগলেন না!
তাঁর মন অাজ অনেক ভালো। এই বাড়ির সবথেকে বড় অাপদ বিদেয় হয়েছে।
ছেলেকে যে তিনি কিভাবে অানন্দের খবরটা দিবেন বুঝতে পারছেন না।
তামিম একমনে মোবাইল স্ক্রল করে যাচ্ছে।
স্যূপ মুখে দিয়েই তামিম থু করে ফেলে দিলো!
-------চিনি দিয়েছো কেনো মা??
------কেনো ভালো হয়নি?? লাস্ট টাইম যখন সিংগাপুরে গেলি; তখন তো এই স্যূপ খেয়েই ওয়াও ওয়াও করলি। এখন নাক ছিটকাচ্ছিস কেনো??
তামিম জানে মা ইচ্ছে করেই স্যূপে চিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন।এর কারণ তামিম যাতে স্যূপ ফেলে ভাত খায়! তাঁর মায়ের বদ্ধমুল ধারণা ভাতের বিকল্প বলে কিছু নেই।
তামিম বিরস মুখ করে বলল,
------দেখি ভাত দাও! করলা জাতীয় তেতো কিছু কি অাছে??
------করল্লা খাবি কেনো??তোর কি মন খারাপ??
------; মন খারাপ। মেজাজও খারাপ...
সেলিনা ছেলের পাতে করল্লা ভাজি দিতে দিতে বললেন,
------এক্ষুণি তোকে একটা মজার খবর দিবো, সাথে সাথে তোর মন ভালো হয়ে যাবে।
তামিম ফোন রেখে খাওয়ায় মনোযোগী হলো।
-------কবুতরের ঝোল দিই একটু!!?? কত রক্ত খুঁইয়ে এসেছিস!! বা-হাতটা নাড়ছিস কেনো?? দেখি, প্লেট এদিকে দে, অামি খাইয়ে দিচ্ছি।
বিরক্তিতে তামিমের দম বেড়িয়ে যাচ্ছে, মা সবসময়ই বেশি বেশি। তামিম তাও হাসিমুখে হাঁ করলো।
------দাঁড়া, একটা ছবি তুলে রাখি; রাতে অাপ্লোড করে দিবো। তোর বাবা দেখে হিংসেয় মরে যাবে।

------ওহ মা।অামার অফিসের কেউ যাতে না দেখে। বি কেয়ারফুল।
সেলিনা হাসিমুখে ছেলেকে ভাত খাওয়ানোর ছবি তুললেন।
তারপর একটু গলা নামিয়ে বললেন,
-------তোর বাবা চলে গেছেন। ইতুও চলে গেছে।
বাপ-বেটিতে মিলে বুঝুক এবার সংসার কাকে বলে??
অামার সাথে ঘাটাকুচা চলবে না।এ বাড়িতে বাস করতে হলে, নো ঘাটাকুচা।সবসময় তোঁর জব নিয়ে কথা... হোয়াই??

হলিডেDonde viven las historias. Descúbrelo ahora