নীরা তিনতলায় উঠে পুরো ভ্যাঁবাচেকা খেয়ে গেলো। যেখানে অফিস হওয়ার কথা, সেখানে
একটি সিডির দোকান। নাম "রফিক সাউন্ড সিস্টেম"! হালকা পাতলা একটি ছেলে বসে অাছে।মনে হচ্ছে, এই দোকান নিয়ে সে মহা বিরক্ত।
নীরা এগিয়ে গেলো,
-------অালাউদ্দিন বলে একজন অামায় এখানে দেখা করতে বলেছিলেন। তিনি কি অাছেন??
ছেলেটা নীরার কথার জবাব দিলোনা।
-------অামার এখানে একটা কাজে অাসার কথা ছিলো। মিউজিক ভিডিওর জন্য। অামার নাম নীরা।
ছেলেটা কিছু না বলে, দোকানের ভেতরে সাইড দিয়ে একটা চিকন রাস্তা দেখিয়ে বলল,
-------এদিক দিয়া ভেতরে যান।বস, ভেতরে অাছেন! অাপনে সামনের ওয়েটিং রুমে বসবেন।কাজ চলতাছে একজনের।-------ভেতরে যাবো না অামি।এখানেই অপেক্ষা করবো। অাপনার বসকে ডাকুন।
ছেলেটা এবার একটু গুরুত্ব দিলো নীরাকে।
-------ভিতরের জিনিস দেখানোর কাজ করতে পারবেন, অার দোকানের ভিতরে যাইতে পারবেন না। এটা কি কথা!?? কাজ করলে ভেতরে যান, নাইলে ফুটেন। এরকম ফালতু কাজ করতে পারেন, অাবার দেমাগ। হুহ.. ছেলেটা মুখ থেকে একগাদা থুথু ফেললো নীরার সামনে।বিরক্তি ছেলেটার চোখ মুখ অারো কুঁচকে এলো।নীরা ছেলেটার কথা বুঝার চেষ্টা করলো, চৌদ্দ-পনেরো বছরের ছেলে।কিন্তু চেহারাটা একদম মেয়েলি ধরনের।চোখে মুখে যেনো জীবনের প্রতি প্রচন্ড রাগ। এই পরিস্থিতির সবটার জন্য যেনো সে দায়ী!
সে কি বুঝাতে চাইছে??? নীরার চলে যাওয়া উচিত?? ছেলেটি কি কোনোভাবে প্রচ্ছন্ন নিষেধ বুঝাচ্ছে??-------এখানে কি হয়??
-------জেনে অাসেন নাই?
-------জি না।
-------ঘন্টা রেটে নীল ফিলিম। অাপনের মুখ দেখানো হবে না। শুধু বডি। এর উপরও রেইট অাছে। যে যতদূর দেখায়। কিলিয়ার??নীরার গা শিউড়ে উঠলো।ছিঃ....
-------এখন কি হচ্ছে???
-------একটা স্কুল অাইটেম অানা হইছে; তাঁর শূটিং চলতাছে।
মেয়েটারে এরা মাইরা শেষ..
বালের দুনিয়া।এই দুনিয়ায় পেডের জ্বালায় কত কি যে দেখন লাগতাছে।নীরার গলায় দম অাটকে এলো।
------অামায় এক গ্লাস পানি দিবেন??
ছেলেটা পানি দিলো না।পানির বোতলটা বরং একটু সরিয়ে রাখলো।
-------এরকম করে মেয়েদের ক্ষতি করা কি ঠিক?? এসব কাজে পুলিশ বাঁধা দেয় না..??
YOU ARE READING
হলিডে
Romanceনীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘ...