নাফিসা চলে এসেছে, তাঁকে এয়ারপোর্টে কেউ রিসিভ করতে আসার কথা নয়। সে কাউকে জানিয়ে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে এসে সে দেখলো, তাঁকে নিতে লোকজন চলে এসেছে।
নাফিসা মন খারাপ করা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।প্রাইম মিনিস্টার বাবা হওয়ার এই এক বিড়ম্বনা! সব আগে থেকেই জেনে যায়!
নাফিসা গাড়িতে বসতে বসতে বাবাকে ফোন করলো,
--------হ্যালো পাপা,
--------হ্যালো, মামণি, ওয়েলকাম টু হোম। তুমি কি পৌঁছে গেছো??আমি রাত দশটার মাঝেই ফিরবো। ন'টায় একটা ছোট্ট মিটিং এর শিডিউল আছে, সেটা ক্যানসেল করতে পারলে আরও আর্লি তোমায় জয়েন করবো।--------পাপা.. একটু তো থামবে..আগে আমার কথাটা তো শুনবে। আমার একটা রিকোয়েস্ট আছে, বলো তুমি রাখবে।
-------তুমি রিকোয়েস্ট বলেছো তো, ধরো কনফার্ম রাখছি। একটু তাড়াতাড়ি বলো,.. মামণি।
--------বাবা, এবার আমি তোমার কাছে বেড়াতে আসিনি। রুটিন শিডিউলের বাইরে, এসেছি, অল্প সময় বুঝোই তো.....
অন্য কারণে এসেছি।
আমি যদি দুদিনের জন্য আমার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাই, মানে ওখানেই উঠি....
নাফিসার কথা শেষ হলো না
প্রাইম মিনিস্টার সাহেব ব্যস্ত হয়ে বললেন,
-------মামণি,আমি সিকিউরিটির জন্য একটা টিম কনফার্ম করে দিচ্ছি, তুমি সেখানের এড্রেসটা মেসেজ করো আমার ফোনে।
--------বাবা, প্লিজ! ওটা আমার বন্ধুর বাড়ি, বিশেষ বন্ধু। প্লিজ বাবা। আমি একা যেতে চাই। নিজের মত করে তাঁদের সাথে থাকতে চাই। দুটো দিন! আই এশিওর ইউ স্ট্রংলি পাপা, আমার বন্ধু আমার খুব যত্ন করবে।প্রাইম মিনিস্টার সাহেব দীর্ঘশ্বাস ফেললেন, একমাত্র মেয়ে বলে, অনেক সময় কঠিন কথা বলতে চেয়েও পারেন না।
এরকম উল্টোপাল্টা ডিসিশন নেওয়া একদমই ঠিকনা। তাঁর নিজের শরীর ইদানিং ভালো যাচ্ছে না, যেকোনো সময় কিছু না কিছু ঘটে যেতে পারে। তাঁর কিছু হওয়া মানে পার্টি নাফিসাকে নিয়ে ভাববে। যদিও সেটা আরো বেশ ক'বছর পরে ঘটবে, তাও তো মেয়েটার ইমেজ ধরে রেখে চলতে হবে। পার্টির সবাই নাফিসাকে ফিউচার লিডার করা নিয়ে কানাঘুষো ও করছে।
-------হ্যালো পাপা, তুমি কি শুনছো??
--------মা, মণি তুমি অামার মেয়ে বলে সাধারণ জীবন পাবেনা তা কিন্তু নয়। তাও তোমাকে জানিয়ে রাখি, সিকিউরিটি জন্য একটা টিম হিডেন হয়ে থাকবে, তোমার বন্ধুরা কেউ বুঝতে পারবে না।
প্লিজ মামণি। দেখো, তোমায় না জানিয়ে ও অামি কাজটা করতে পারতাম...
-------ওকে , তুমি ইজিলি পারমিট করছো বলে তোমার রিকোয়েস্ট টাও অামি রাখলাম। লাভ ইউ পাপা....
YOU ARE READING
হলিডে
Romanceনীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘ...