পর্ব ৩৫ এবং ৩৬

1.8K 57 5
                                    



🔔🔔🔔

নীরা ভয়ে ভয়ে ফোনস্ক্রিনের দিকে তাঁকিয়ে অাছে।  অারেকবার কি ফোন করবে সে??? গত দু'সপ্তাহ ধরেই দিনের নির্দিষ্ট দুটো সময়ে সে মি. তামিম কে ফোন করে যাচ্ছে । একবারে সে অনেকবার রিং দেয়।
কিন্তু তাঁর জন্য মজার ব্যাপার হলো, মি. তামিম সেই ফোনটা রিসিভ করেন না। প্রথম দিকে নীরার খারাপ লাগলেও এখন বরং ফোনটা ধরেন না বলেই নীরার বেশি ভালো লাগে। ফোন রিসিভ করে,  যদি নীরাকে জিজ্ঞেস করে, কেন ফোন করেছো//?  নীরা কি বলবে তখন??
নীরা অাবার ফোনটা ডায়াল করলো। যখনি ফোনের কলিং টোন গুলো বাজতে থাকে , তাঁর হাত পা শীতল হয়ে,  বুকের ভেতরটা লক্ষ কোটি গুণ বেগে ধুকপুক করতে থাকে। 
অাজ নীরাকে অবাক করে দিয়ে তামিম ফোন রিসিভ করে নিলো,
--------হ্যালো...
নীরা কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
-------হ্যালো, নীরা.....

নীরা বিছানায় কাঁথা মুড়িয়ে শোয়া অবস্থায় ছিল। উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো।
--------হুঁ...
-------নীরা বলছো তো???
নীরা ফোনের এ পাশে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো।।
-------কেনো ফোন করেছো???
নীরা শুকনো একটা ঢোঁক গিললো। ঠিক জিজ্ঞেস করলো তো.....
বৌ তাঁর স্বামীকে ফোন করেছে, এতে প্রশ্নের কি অাছে?

---------হোয়াই হ্যাভ ইউ ফোনড মি???
------- ফোন অামি করিনি।  ফোন চলে গেছে.......এমনি এমনি....
------তাঁর মানে  তুমি বলতে চাচ্ছো, ফোনে অামার নাম্বারটা অাপনা অাপনি উঠে এসে কল চলে এসেছে??
-------হুঁ,

-------তুমি ফোন করোনি??
-------না। অামি কেনো শুধু শুধু অাপনাকে ফোন করবো?।

ফোনের এ পাশে, তামিমের মাথায় যেন রক্ত চড়ে গেলো।দুদিন হয়নি মুভির হিরোইন হয়েছে, এখনি এত ভাব??ফোন দেওয়া হয়নি অামাকে! এই যে আমি এতদিন ধরে ফোন কেনো রিসিভ করিনি,  সেটা তো কেঁদে কেটে কাতর হয়ে জিজ্ঞেস করবে?? অাজই বা কেনো রিসিভ করলাম সেটা তো জানতে চাইবে?? এই এতটা দিনে নীরার ফোনের দিকে তাঁকিয়ে তামিমের অভিমান গলা পর্যন্ত জমে কেমন শক্ত পাকিয়ে গেছে,  নীরা কি একমুহূর্তের জন্য তা ভেবেছে??

--------নীরা...
-------হুঁ...
--------অামি যদি এই মুহূর্তে দেশে থাকতাম না,  তোমাকে গুলি করে  দিতাম.... নাক বরাবর!  বুঝলে???
-------হুঁ.....
--------তোমার ফোনটাকে প্লিজ সামলাও, অার যাতে এমনি এমনি রিং না দেয়।  কি এমন ফোন যে অাপনা থেকে কল করে?? কল কি শুধু অামাকেই দেয়, নাকি দুর্নিবারকেও দেয়??

হলিডেOnde histórias criam vida. Descubra agora