মেজবাউর সাহেব, পুরো ঘটনা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিনি তো সামনেই ছিলেন।
রিতু এবার অারো বেশি জোড়ে ধমকে উঠলো।
-------বাবা, অামরা একটা বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছি, অার তুমি কিনা ধরে ধরে সবাইকে মদ খাইয়ে দিলে।
মা এখন কি করছে জানো???
এখন রনি ভাইকে নিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন ফর্দ করছেন। উফফ.....
লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে অামার। বেচারার কাল বিয়ে অথচ অাজ তিনি রাজবন্দী ।-------অাচ্ছা, নীরা মেয়েটার কি অবস্থা এখন??
রিতু মুখে অাঙুল দিয়ে বলল,
--------শশশশশশশ... অাস্তে, বাবা। উনার কথা এখনও কেউ জানে না। মায়ের কান্ডতেই সারা বাড়ি তুলকালাম অবস্থা।
-------তাঁকে প্লেইন লেমন জুস দিতে বল,একটু বেশি সল্ট এড করে। তাতে বমি হবে। বমি হয়ে গেলেই,তারপর শরীর টায়ার্ড হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।-------অার মা, মাকে কি করবো??? তাঁকে কে সামলাবে??
মেজবাউর সাহেব বিছানায় পাশ ফিরে শুয়ে গায়ে চাদর টেনে নিলেন।
--------রিতু, তোর মা একবারের জন্য নিজেকে মহারাণী ভেবে খুশি হচ্ছে। তাঁর এই সুন্দর অনুভুতিটাকে নষ্ট করে দেওয়া কি ঠিক হবে??তাছাড়া বেচারি তো কারও ক্ষতি করছে না।সবাই যখন মজা পাচ্ছে, এমন চলুক না....--------তাঁর মানে তুমি যাবে না মায়ের কাছে???
মেজবাউর সাহেব জবাব দিলেন না।
রিতু উঠে দাঁড়ালো। ওদিকে ভাইয়া, নীরাপু কি করছে কে জানে???
নীরাপুর বমি কি কমেছে?? এমনিতেই বাড়ির সবাই জানে নীরাপু ঘুমিয়ে। তাই বলে কতক্ষণ!!অারেকবার গিয়ে চ্যাক করা দরকার। ভাইয়া একা কিভাবে সামলাচ্ছে কে জানে???রিতু দরজা পর্যন্ত ও গেলো না, মেজবাউর সাহেব ডাকলেন,
-------রিতু, তোর মায়ের পাশে পাশে একটু থাকিস, রাণী মানুষ, বুঝিসই তো? এটা ওটা দরকার লাগবে। এই, তুই বরং একটা কাজ কর, একটা মুকুট কালেক্ট করে ফেল..তোর মা'কে পড়িয়ে দে...বেচারি যাও একটু রাণী হলো, তাও মুকুট নেই। অামার তো তোর মায়ের জন্য বুক ফেটে যাচ্ছে।--------তো শুয়ে শুয়ে বুক ফাটাচ্ছো কেনো???তুমিই এসে মাকে মুকুট পড়িয়ে দাও। রাণীর রাজ্য অভিষেক রাজার হাতেই হোক!
ESTÁS LEYENDO
হলিডে
Romanceনীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘ...