নীরা খুবই বিরক্ত গলায় বলল,
-------একটা মানুষ একজনকে শাস্তি দিতে যাচ্ছে আর তুমি তাঁকে মহা উৎসাহে সাহায্য করছো?
এটা কি ঠিক ?
------নীরা, তুই এমন ভাবে কথা বলছিস যেন উনার পুত্র বধু টা তুই??
নীরা শফিকের কথায় চমকে গেল।
নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
------নিজে পুত্র বধু না হলে বুঝি বলতে পারি না?
উনি ভাবছেন উনার ছেলেকে মেয়েটি ফুসলে ফাসলে বিয়ে করেছে ; এমনও তো হতে পারে উনার ছেলেটারই দোষ! শুধু শুধু মেয়েটাকে দৌড়ানো।
শফিক গাড়িতে বসতে বসতে বলল,
-------তুই এত সিরিয়াস হয়ে গেলি যে??
নীরাও বসলো গাড়িতে ;
-------এমন ও তো হতে পারে ভাইয়া যে,ছেলেটাই মেয়েটাকে প্রেশারে ফেলেছে। তুমি তো জানো না ভাইয়া, অাজকালকার ছেলেরা তো বন্দুক অার পুলিশ নিয়ে বিয়ে করে। পুলিশের চার পাচঁটা গাড়িও রেডি রাখে এরা! বিয়ে না করলেই গাড়িতে করে ডিরেক্ট থানায়।শফিক নীরার মাথায় টোকা দিয়ে বলল,
-------তুই এত রিয়েক্ট করছিস যেনো তোকে কেউ এমন করে বিয়ে করে নিয়েছে। কিরে কিছু ঘটিয়েছিস নাকি?নীরা শফিকের কথায় অাবার ও চমকে উঠলো। তোতলাতে তোতলাতে বলল
-------তুমি যে মাঝে মাঝে কি বলো না ভাইয়া??? পুরো ভয় পাইয়ে দাও।অামি কেনো বিয়ে করবো?? তোমার অতিথির
গিফটের কথা বলো, কি কিনবে তাঁর জন্য?
শফিক জবাব দিলো না।-------তুমি কি তাঁকে দেখেছো???সে কি শাড়ি পড়ে?
শাড়ি দিলে হবে? নাকি অন্য কিছু?? অাচ্ছা, তাঁর কি পছন্দ??
শফিক হঠাৎ করেই বলল,
------নীরা, চল নেমে যাই।উপহার কিনতে ইচ্ছে করছে না।
চল নেমে যাই। ভালো লাগছে না।নীরা শফিকের হাত চেপে ধরলো,
------উপহার না কিনলে না কিনবে, চলো গাড়ি করে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করা যাক।ফ্রিতে গাড়ি পাওয়া গেছে।
-------অামার পড়াশোনা অাছে।হিউজ সিলেবাস বাকি।
--------ভাইয়া, একদিনে তোমার পড়াশোনা ভেসে যাবেনা। একটু সময় অামরা ঘুরতেই পারি।শফিক নিশ্চুপ হয়ে বসলো।
-------ড্রাইভার সাহেব একটা গান টান কিছু বাজান তো... অামরা ভাইবোনে দু'ঘন্টা গাড়িতে করে ঘুরতে চাই। সমস্যা নেই তো??
ড্রাইভার না সূচক মাথা নাড়লো।
YOU ARE READING
হলিডে
Romanceনীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘ...