রাতে খাবার পর মেজবাউর সাহেব মদ্যপান করার সব ব্যবস্থা করে নিয়ে ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। অাজ তাঁর মনটা বেশ ফুরফুরে। অনেকদিন পর পরিবারের সাথে একটা গেট টুগেদার হলো। মেজবাউর সাহেব ছেলের জন্য অপেক্ষা করে নিজেই দুটো গ্লাসে পেগ রেডী করলেন।
অাজ ছেলেকে তিনি একটা ধন্যবাদ দিবেন। ছেলেটা এত চ্যালেঞ্জিং একটা পেশায় জব করছে। সবমহল থেকে তিনি প্রশংসা পাচ্ছেন।
ছেলের জন্য তিনি একটা গিফট ও রেখেছেন।তামিমের একটা বড় ছবি তিনি বাঁধিয়ে এনেছেন। ছবিতে অাট বছর বয়সের তামিম
একটি কবুতর হাতে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে। কান্নার কারণ, কবুতরটির একটি ডানা ভেঙ্গে গেছে। ছবিটার দিকে তাকালেই মন কেমন হাঁ হুতাশ করতে শুরু করে। শ্রাবণের সন্ধ্যাগুলোতে কালো মেঘের অাকাশের দিকে তাঁকালে যেমন বুকের ভিতর শাঁ শাঁ করে; তেমন একটা অনুভূতি হয়।ছবির
ফ্রেমটা করেছেন তিনি পুরোটাই প্লাটিনামে। মাঝে মাঝে হীরে বসিয়ে ডেকোরেট করা হয়েছে।
ছবির উপরে যে কাচটা ব্যবহার করেছেন তারও একটা বিশেষ গুণ অাছে, একেক ধরনের অালোতে ছবিটা একেক রকম দেখায়।ছোটবেলায় তামিমের মন ছিলো ভীষণ নরম। সে যে গুলি চালানোর মত কাজ করতে পারবে এটা ধারণার বাইরে ছিলো।অথচ বড় হয়ে সে জয়েন করলো এনএস অাইতে। তাও ইন্টারনাল সিকিউরিটি উইংয়ে।
এই অল্প বয়সে ছেলেটা কত সাহসী ভূমিকা পালন করছে ভাবা যায়?? অথচ এই চাকরি নিয়ে প্রথমে তিনি ছেলের উপর নারাজ ছিলেন। তামিম ঘরে এসে নিঃশব্দে চেয়ার টেনে বসলো।তাঁর হাতে একটা সবুজ ফাইল।
মেজবাউর সাহেব হেসে বললেন,
-------হ্যালো ডিয়ার সান, টেইক ইট।ইট'স এ নিউ কালেকশন.. অাই ওপেনড ইট যাস্ট নাউ।
তামিম খুবই অাগ্রহের সাথে হাত বাড়িয়ে ড্রিংকের গ্লাসটা নিলো।
মেজবাউর সাহেব জানেন, তামিম তা থেকে এক চুমুকও নিবে না। প্রতিবারই তামিমকে যখনই তিনি কথা বলতে ডাঁকেন, তিনি এরকম একটা ড্রিংক অফার করেন। তামিম অালোচনার শুরু থেকে শেষ অবধি সেই ড্রিংকের গ্লাস হাতে নিয়ে বসে থাকে। অালোচনার শেষে চলে যাবার সময় হাসিমুখে বলে,
------বাবা, এটা তোমার জন্য!
মেজবাউর সাহেবের মন তখন বিশাল অানন্দে ভরে যায়।
YOU ARE READING
হলিডে
Romanceনীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘ...