পর্বঃ ২৯

48 4 0
                                    





- পুরো বাড়ি পরে আছে আমার রুমে যদি বাহিরের কোনো মেয়ে ঢুকে তো আমি এই রুমে পা ও ফেলবো না বলে দিলাম।

বলেই  তিশা শুভর হাত ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে ওয়াসরুমে যেতে লাগলো অমনি শুভ তিশাকে টেনে দেওয়ালে চেপে ধরে ঠিক সেই সময় ইরা রুমে ঢুকে। শুভ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিশা ইরাকে দেখে শুভর কানের নিচে দুহাত রেখে শুভকে টেনে জোরে শুভর ঠোটে একটা কামড় দিয়ে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে ইরার ওপর ফেলে দিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে পরে।

- এটা কি হলো শুভ? ওর সাহস কি করে হলো তোমাকে টাচ করার? ইস রক্ত বের হয়ে গেছে দেখি?

ইরা শুভকে ধরতে গেলেই শুভ ইরার হাত ধরে রুম থেকে বের করে দিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়।

- শুভ? শুভ? এটা ঠিক করছো না তুমি শুভ?
- প্লিজ লিভ ইরা। ইউ ক্যান গো নাও।

তিশা ওয়াসরুম থেকে বেরহয়ে দেখে শুভ দরজা ধরে দারিয়ে আছে। তিশা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যাবার জন্য দরজাতে হাত দিতে গেলে শুভ তিশার হাত ধরে সোফায় বসিয়ে দেয়। শুভ তিশার পাশে বসে খাবার প্লেট হাতে নিলে তিশা উঠে রুম থেকে আবার বের হয়ে যেতে নিলে শুভ আবার তিশাকে সোফার ওপর বসিয়ে দেয়। হাতে ভাত তুলে তিশার সামনে ধরলে তিশা মুখ ঘুরিয়ে উঠতে গেলেই শুভ বা হাতে ঠাস করে তিশার গালে চড় মেরে এক হাতে তিশাকে টেনে কোলে বসিয়ে খাবার মুখে তুলে খাওয়াতে শুরু করে আর নিজেও খেতে লাগে। তিশা কাদছে আর খাচ্ছে। শুভ চুপ করে খেয়ে তিশাকে কোল থেকে নামিয়ে প্লেট রেখে হাত ধুয়ে এসে দেখে তিশা নেই। আশার রুমে গিয়ে দেখে তিশা সোনা মোনার গলা জরীয়ে আশার বিছানায় চুপটি করে শুয়ে আছে। রুমে কাউকে না দেখে তিশার দিকে এগিয়ে যায়।

- এই রুমে কেনো এসেছেন???
- (শুভর কথা বলাতে তিশা চোখ বন্ধ করে নেয়)
- এটা মোটেই ঠিক হচ্ছে না। চলুন রুমে চলুন কথা বলার আছে আপনার সাথে।

এর মধ্যে আশা আর আকাশ রুমে ঢোকে।

- ভাবি তুমি এখানে?
- কেনো তোমার সমস্যা করলাম?
- আরে না ভাবি।
- কেনো হবেনা? এখন যে যার মতো রেস্ট নিবে আর আপনি এখানে এই দুটোকে নিয়ে বিছানা দখল করে রাখলে ওর সমস্যা হবে না?
- ভাই তুই বেশি বলছিস।

বউ - Wife  | √Onde histórias criam vida. Descubra agora