পর্বঃ ৪৩

28 1 0
                                    







শুভর ছোয়া তিশা সহ্য করতে পারে না। একহাতে শুভর কলার অন্য হাতে শুভর হাতের শার্ট খামচে ধরে। খানিকবাদে শুভ তাকে ছেরে দিয়ে তিশার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে তিশা চোখ বন্ধ করে আছে আর বন্ধ চোখের কোনা বেয়ে পানি গরিয়ে পরছে। শুভ আস্তে করে তিশার দিকে ঝুকে তিশার কানে কানে ম্যাজিক্যাল 3 words বলে।

- i love you বউ।
- (তিশা চুপ)
- তিশু? তিশু?

শুভ বুঝতে পারে তিশা সেন্স লেস হয়ে গেছে। শুভ তারাতারি তিশাকে টেনে বালিসের ওপর শুইয়ে রেখে তিশার চোখে মুখে পানি ছিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তিশার সেন্স ফিরে আসে।

- ঠিক আছো তো তুমি?
- (তিশা চুপ)

শুভ তিশার পাশে বসে তিশার দুহাত মুঠো করে বুকের সাথে ধরে।

- আমি তোমার কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করবো না।কিন্তুু তোমাকে বোঝার চেষ্টা করতে হতে আমি কি করতে পারি আর কি করতে না পারি। আমি যতই খারাপ হই তোমাকে কষ্ট দেবার মতো হয়তো অনেক কিছু করেছি কিন্তু তোমার সম্মান নষ্ট হবে এমন কিছু করিনি বা তোমাকে কোনো মিথ্যা ও বলিনি তুমি তা ভালো করেই জানো।তোমার যদি সত্তি মনে হয় আমি এমন কিছু বলতে বা করতে পারি তাহলে.....
- তাহলে?
- তোমাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমিই করবো।
- কি করবে তুমি?
- আপাততো ফোনটা.....

ফোনটা আছাড় মেরে দেয়।ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পুরো রুম ছিটিয়ে যায়।তিশা চুপ করে বসে থাকে।শুভ রুম থেকে বের হয়ে যেতে থাকে।

- কই যাচ্ছো?
- কাজ আছে।
- এখন কোথাও যেতে হবে না।

শুভ তবুও কিছু না বলে যেতে লাগে আবার পিছে ফিরে এসে তিশার সামনে দারায়।

- একটু আগে আমি কিছু বলেছিলাম। তুমি কিছু বললে না তো?
- কি বলেছিলে?
- তুমি শুনতে পাও নি?
- না!
- ওহ sorry. (এটাই হবার বাকি ছিলো)
- কেনো?
- তখন,
- হুম?
- তিশু?
- হুম?
- আসলে একটা কথা!
- হুম?
- না কিছু না।

শুভ রুম থেকে বের হয়ে আসে। 

- চেন্জ করার জন্য আলাদা একটা রুম থাকে। তাকে ওয়াসরুম বলা হয়। জানিস না তুই?
- জানি তো।তারাহুরা করে আসলে.......
- এতো যখন তারা রাস্তা থেকে হিজাব খুলতে খুলতে আসবি?
- এতো বেশি কথা বলিস কেনো তুই? আমি কি যেনে আছি তুই এই বিকেলে আমার রুমে ঘাপটি মেরে শুয়ে আছিস?আর তুই তো শুয়ে নেই আমার কলিজা জ্বালানোর জন্য শুয়ে আছিস। আচ্ছা তোর কি কোনো কাজ নেই?  সারাদিন আমার পিছে পরে থাকিস কেনো শুনি? শোন আমি কিন্তুু এখন ও তোর ঘরে যাইনি। সো......

বউ - Wife  | √Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ