পর্বঃ ৩৫

52 3 0
                                    



- তোমাকে আমি মুক্ত করে দিলাম শুভনিজের মতো করে থেকো বেচে থাকতে অন্য কারো কাছে তোমাকে যেতে দেখতে পারবো না তাই একটু পর থেকে আর তোমাকে তিশা নামের বোঝা টা বয়ে বেড়াতে হবে না।

তিশা এক ঝলক পিছে ঘুরে দেখে শুভর দিকে তাকিয়ে থাকে। সে এক গভীর ভালোবাসার চাহনি। চাহনিতে ভালোবাসাগুলো অশ্রুফোটা হয়ে ঝরে পরছে। শুভ কিছু বোঝার আগেই তিশা রাস্তার মাঝখানে এসে দারায় আর সাথে সাথেই পিছে থেকে আসা গাড়িটা তিশাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তিশার নিথর দেহটা শুভর সামনে এসে ধপাস করে ছিটকে পরে যায়।

- মামি?(আকাশ)
- হ্যা বাবা বল?
- আশা কই?
- কেনো রুমেই তো আছে সকাল থেকে রুম থেকে বের হয়নি। শোন বাবা যা হবার হয়েছে তুই তো জানিস আমার মেয়েটা কেমন বড্ড....
- আমায় কিছু বলতে হবে না মামি। আমি সব জেনে শুনে এ কাজটা করেছি। তোমার চিন্তা করতে হবে না আমি সব দেখে রাখবো।

আকাশ আশার রুমে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিতে থাকে কিন্তুু দরজা লক করার জন্য আকাশ ভেতরে ঢুকতে পারে না।

- আশা দরজা খোল
-(আশা চুপ)
- আমি তোকে দরজা খুলতে বলেছি।

হঠাৎ করে আওয়াজ হওয়ায় আকাশ জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে আশাকে দেখে দৌড়ে দরজায় গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে জোরে জোরে লাথি মেরে দরজা ভেঙে আশার দুপা জরীয়ে ধরে। শব্দ শুনে আশার মা রুমে চলে আসে।

- আল্লাহ্ গো!

আকাশ আর আশার মা মিলে আশাকে নামিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়।

- পাগল হয়ে গেছিস তুই? বুড়ো বাপ মার কথা তোর মনে হলো না? তোর বুক কাপলো না একটা বার ও? কি হতো এখনি?
- ভালোই তো হতো। তোমারা সবাই বেচে যেতে। আমার বোঝা কাউকে টানতে হতো না।

আশার কথা শুনে আশার মা কিছু বলার আগেই আকাশ সজোরে আশার গালে চড় মেরে দেয়। আশা বিছানার ওপড় ছিটকে পরে যায়।

বউ - Wife  | √Onde histórias criam vida. Descubra agora