পর্বঃ ২০

78 6 4
                                    

শুভ খাবারটা টেনে নিয়ে তিশার সামনে নিজের হাতে তুলে ধরে।

- (হাসি মুখে)  আমার খাওয়া হয়ে গেছে তোমাকে কষ্ট করতে হবে না জানু।

বলেই তিশা চোখের পানি টা লুকিয়ে ওখান থেকে চলে আসে। রুমে এসে তিশা সোফায় চুপচাপ বসে পরে।  হাঁটুতে মাথা গুজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে। শুভ এসে হঠাৎ করে তিশার পাশে ধুপ করে বসে পরে, তিশা মাথা তুলে একনজর শুভকে দেখে আবার মাথা নিচু করে ফেলে।  সাথে সাথেই আবার মাথা তুলে ঝট করে সোফা থেকে নেমে লাফাতে থাকে।

- এটা আপনার জন্য এনেছিলাম। ভালো লাগছে?
- wow! wow! wow! শুভ এটা আমার জন্য? ইইইইই এত্ত বড় টেডি  আমার জন্য? ইইই আমাকে দাও,আমাকে দাও।

তিশা ছো মেরে টেডি টা শুভর কাছ থেকে নিয়ে নেয়,নিয়ে শুভর গালে একটা  চুমু দিয়ে দেয়। শুভ গালে হাত দিয়ে তিশার কান্ড কারখানা দেখছে। সেদিন কলেজ থেকে আসার সময় তিশা একটা দোকানে ঝুলিয়ে রাখা টেডিটা বাচ্চাদের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলো। যতদুর দেখা যায় মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছিলো। শুভ ব্যাপারটা ফলো করে। তিশাকে বুঝতে দেয় না, তিশা এতোটা খুসি হবে জানলে অনেক আগে এনে দিতো। তিশা ঠিক মতো টেডিটা নিতেও পারছে না। এক দিকে হাতের অবস্থা ভালো না তার পরে আবার টেডি  তিশার থেকেও বড়।

- আমি এটা সবাইকে দেখিয়ে আনি হ্যা? তুমি থাকো।

তিশাকে দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না ও একটু আগে এখানে বসে কাদছিলো। তিশা তারাতারি যেতে লাগলে টেডিটা নিয়ে দরজার কাছে গিয়ে ফ্লোরে ধপ করে পরে যায়। শুভ তারাতারি গিয়ে তিশাকে টেনে তুলে এনে সোফায় বসিয়ে দেয়।

- বাচ্চাদের মতো এতো লাফান কেনো আপনি? টেডিটা তো তুলতেও পারছেন না, ওকে নিয়ে ওভাবে টানাটানি করছেন কেনো? এখনি কি হতো?
- আমি তো এটা সবাইকে দেখাতে যাচ্ছিলাম।
- রাত ১ টার সময় আপনার পুতুল দেখার জন্য কে বসে আছে হ্যা?
- আচ্ছা তাহলে কাল দেখাবো।
- কাল আরেকটা এনে দিবো।
- সত্তি এনে দিবা?
- হুম আর এটা ও আপনার।
- এটা কি?
- আপনার সেই কার্টুনের জুতো।

বউ - Wife  | √Where stories live. Discover now