খাবার কথা শুনে শুভর মনে হয় তিশার হাত কাটা। শুভ তারাতারি খাবার তিশার মুখের সামনে তুলে ধরলে তিশা শুভর হাত টেনে নিয়ে ইরার সামনে ধরে।
- খেয়ে নাও আপু। তোমার ভালোবাসার মানুষ ভালোবেসে তোমায় নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে।
ইরা খেতে লাগলেই শুভ হাত ঝটকা মেরে সরিয়ে দিয়ে খাবার টেবিল থেকে উঠে ছাদে চলে যায়।
- আমি তোকে ভালোবাসি শুভ।
- তাই নাকি? কবে থেকে?
- জানিনা কিন্তুু আমি তোকে ভালোবাসি।
- আমি জানি তুই রবিনকে দেখানোর জন্য আমার সাথে নাটক করার চেষ্টা করবি না। আরে কি করছিস পাগল হলি?
- হ্যা পাগল হয়েছি। তুই যদি এখন আমাকে গ্রহন না করিস তো আমি সুসাইট করবো।
- পাগলামো করিস না ইরা। তুই ভালোকরেই জানিস আমি তোকে সেই নজরে দেখি না। আর তোর কোনোকিছুই আমার পছন্দ না। প্লিজ আমাকে এভাবে বিরক্ত করিস না।ইরা হাতে একটা পোচ দিয়ে শুভর দিকে হাত এগিয়ে দেয়।
- এটার জন্য দায়ি থাকবি তুই। আমি জানি তুই আমার ক্ষতি হতে দিবি না। বল তুই আমার বল? নয়তো...
ইরা আবার পোচ দিতে গেলে শুভ হাত ধরে ফেলে।
-পাগল হস না।
- তাহলে বল তুই আমায় ভালোবাসবি?
- হুম ওটা ফেল হাত থেকে।এভাবে শুরু হয় ইরা শুভর পিছে ঝুলে পরে। সেই প্রথম থেকেই ইরা শুভর পিছে ঘুরে। আর সেটা শুভর জন্য নয় সেটা নিজের স্বার্থের জন্য। শুভ সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারে কিছুদিনের মধ্যে।
- শুভ তোমার কলেজে আমাকে এডমিশন নিয়ে দাও।
আমিও জব করবো ওখানে।
- আচ্ছা আমি দেখছি।এখানে না হলে অন্য...
- না আমার তুমি যেখানে আছো সেখানেই চাই।
- কেনো? রবিন আছে তাই? ইরা প্লিজ তুই আমাকে ছেরে দে। রবিনের সাথে যা হয়েছে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নে। আমি হেল্প করবো। কিন্তুু প্লিজ আমায়.....
- তুমি এমন কথা বলতে পারলে জানু? আমি তো তোমার জন্যই। আচ্ছা ঠিক আছে ছেরে দিলাম তোমায়। আমার কিছু হয়ে গেলে ক্ষমা করে দিও। আমার মা কে তোমরা কথা দিয়েছিলে আমাকে ভালো রাখবে। এটাই তার নমুনা?
YOU ARE READING
বউ - Wife | √
Romanceতিশার বাসর রাত, ফুলে ভরা বিছানায় এক হাত ঘোমটা দিয়ে চুপচাপ বসে আছে তিশা,পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হয় ওর, বিয়েটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড তিশা, কারন ও কখনও কোনো রিলেশন করেনি,বিয়ের পরে বর এর সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে সেই আশা নিয়ে এতেদিন কাটিয়ে দিয়েছে। -Ononnaa