পর্বঃ ১৮

47 6 0
                                    

- ওওও আচ্ছা এই ব্যাপার? ভাই তুই এতো হিংসুটে?(আশা)
- ওই শয়তানী নক না করে রুমে ঢুকছিস কোন সাহসে?
- সরি,সরি আমি এভাবে রুমে না আসলে এসব তো জানতেই পারতাম না। আমার ভাই এত্ত এত্ত এত্ত....
- বেশি পাকনামো করিস না চুপচাপ খাবার রেখে চলে যা( জোরে ধমক দিয়ে)
- যাচ্ছি যাচ্ছি।হারামি,কুত্তা।

আশা দৌড়ে বের হয়ে যায় আর তিশা আবার শুভর কোলে উঠে বসে আর সাথে সাথে ক্লিক করার আওয়াজ শোনা যায়। তিশা আর শুভ সামনে তাকিয়ে দেখে আশা গণহারে ওদের কয়েকটা পিক তুলে নেয়।

- ভাবি ডান।(বলেই দৌড়)

আর শুভ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিশা শুভকে ভালোবাসার পরশে আটকে নেয়। আর সাথে সাথেই  শুভর ফোন টা বেজে ওঠে। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে তিশা শুভকে ছেরে দেয়। শুভ ফোনটা নিয়ে দেখে ইরা ফোন করেছে তিশাও দেখতে পায়। শুভ তিশার দিকে তাকায়।

- বুঝছি। প্রাইভেসি লাগবে?
- (এই মেয়েটার মাথায় যে কি ঘুরে বুঝতে পারি না)
- আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি।

তিশা উঠে চলে গেলো শুভ কিছু বললো না। ফোনটা নিয়ে বেলকুনিতে চলে গেলো অনেকক্ষন পরে এসে তিশা দেখে শুভ এখনও ফোনে হেসে হেসে কথা বলছে। তিশার এবার রাগ উঠে যায়। চুপচাপ গিয়ে চেন্জ করে তারাতারি খুব সুন্দর করে সেজে নিজের ফোনটা নিয়ে আবিরকে ভিডিও কল দিয়ে কথা বলতে থাকে। খুব জোরে জোরে আর খুব হেসে হেসে সোফায় বসে কথা বলতে থাকে। কথার আওয়াজ শুনে শুভ উকি মেরে দেখে তিশা খুব সুন্দর করে সেজে কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে। শুভ তারাতারি ইরার কলটা কেটে বেলকুনিতে লুকিয়ে তিশার কথা শুনতে থাকে আর এদিকে ইরা বার বার ফোন দিতে থাকে শুভর কাছে আর শুভ বার বার কল কেটে দিতে থাকে।

- আরে কি যে বলেন না।
- i am serious মিষ্টিপাখি। অনেক মিষ্টি লাগছে তোমাকে দেখতে।
- ( মিষ্টিপাখি? what the.....)শুভ
- ধন্যবাদ।
- এই মিষ্টিপাখি তুমি খেয়েছো?
- হাত দেখছেন তো? কি ভাবে খাই বলেন?
- what? তুমি এখনও না খেয়ে আছো? একটা কাজ করো তুমি বাসার সামনে দাড়াও আমি তোমাকে তুলে নিচ্ছি। রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে তোমাকে আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিবো। তারাতারি বের হও

বউ - Wife  | √Opowieści tętniące życiem. Odkryj je teraz