পর্বঃ ২১

51 4 1
                                    


-  আমার ভালোবাসার দিব্যি নিয়ে বলছি শুভ ইরার এমন ছবি যদি আর  একবার ও তোমার ফোনে দিয়েছে তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। ভুলে যেওনা আমিও একটা মেয়ে। ইরার যা আছে আমার মধ্যেও তাই আছে। আর আমাকে চায় এমন মানুষ ও অনেক আছে।

কথাটা বলেই তিশা টেনে শুভকে সোফা থেকে তুলে সোফার ফোম গুলা ফ্লোরে বিছিয়ে বিছানা করে টেডি টা কোলে নিয়ে শুয়ে পরে। শুভ কি বলবে বলার কিছু পাচ্ছে না। সে রাতে  আর শুভর কাছে যায় নি। তিশা না রেগে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে। এখানে যদি আজ শুভ ছবি চাইত তো আজকেই তিশা শুভর মাথায় বারি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিতো কিন্তুু এখানে দোষ টা ইরার আর তালি তো এক হাতে বাজে না। তিশা চুপ করে ঘুমিয়ে যায়।

সকালে  ঘুম থেকে উঠে শুভ আর তিশাকে দেখলো না। শুভ আর খোজে নি তিশাকে। নাস্তা না করে চুপিসারে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কলেজে গিয়ে শুভ ক্যাম্পাসে তিশাকে দেখতে পেলো না কিন্তুু মনে মনে তিশাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে পরে। এ অস্থিরতা যে কেনো হচ্ছে শুভ সেটা বুঝতে পারছে না।  শুভ গিয়ে নিজের কেবিনে বসে পরে। এর মধ্যে ইরা ফোন দেয় শুভ রিসিভ করে।

- baby,  কাল আমায় কেমন দেখাচ্ছিলো?
- just shat up. আমি তোমাকে আগেও বলেছি এমন পিক কখনও আমাকে দিবে না। আমার কথা বুঝতে পারো না তুমি?
- এত রাগ করছো কেনো জানু? তুমি কি আমার পর?
- আমাদের বিয়ে টা এখন ও হয় নি ইরা। আমি এখন ও তোমার কাছে পর পুরুষ।
-  এমন কেনো বলছো কেনো?  আমি তো তোমার রাগ ভাঙানোর জন্য.....
-  তুমি নাকি আমায় ভালোবাসো? তো একটা মেয়ে হয়ে জানোনা তার ভালোবাসার মানুষের রাগ কিভাবে কমাতে হয়? শরীর দেখিয়ে যদি সব হতো তাহলে মানুষ ভালোবাসতো না, মাঝ রাতে পতিতালয়ে যেতো।

শুভ ফোন টা কেটে টেবিলের ওপর রেখে ক্লাসরুমে চলে যায়।

আমি তিশাকে কোনোদিন দেখিনি আমাকে ওর শরীর দেখাতে। ওর শরীরে কাপড়টাও কোনোদিন ওলটপালট দেখিনি। যেখানে ওর সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তুু ইরা? ও কি করে পারে এসব করতে? ওর এসব কাজ আমার কখনই পছন্দ না। বোঝে না কেনো ও?

বউ - Wife  | √Où les histoires vivent. Découvrez maintenant