পর্বঃ ৪১

27 1 0
                                    






- শুনেছিলাম খুব বেশি দুষ্টু মেয়েদের মাঝে অনেক কষ্ট লুকিয়ে থাকে কিন্তুু আজ নিজের চোখে না দেখলে জানকে পারতাম না।

শুভকে দেখেই তিশা চুপ করে নিজেকে কন্ট্রল করার চেষ্টা করছে। শুভ কিছু না বলে তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়। তারপর তিশার সামনে বসে,

- তোমার কষ্টের ভাগ চাই আমার তিশু।

তিশা আর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না শুভকে জরীরে হাউমাউ করে কাদতে থাকে। বুকের সমস্ত কষ্ট চোখের কান্না হয়ে বের হচ্ছে। শুভ চুপটি করে তিশাকে বুকের সাথে জরীয়ে নিয়ে আছে।

- কেউ আমার ভালোবাসেনা শুভ। সবাই বোঝা মনে করে আমায়। কারো মনে আমার জন্য একটা জায়গা নেই।
মা,বাবা কেনো আমায় ছেরে চলে গেলো? আমাকে নিয়ে গেলো না কেনো? আমি আর পারছি না। আমি সত্তি আর পারছি না। আমি মুক্তি চাই আমার জীবন থেকে। আমি আকরে ধরে বাচবো এমন কেউ নেই আমার। আমি কার জন্য বাচবো বলো? আমি মরে কেনো গেলাম না।

শুভ একটা কথাও বললো না চুপ করে তিশার কথা গুলো শুনলো। তিশাকে থামানোর চেষ্টাও করলো না। এক পর্যায়ে তিশা শুভর বুকেই ঘুমিয়ে পরে। শুভ সারাটা রাত তিশাকে বুকে জরীয়ে নিয়ে বিছানার সাথে আধোশোয়া হয়ে বসে ছিলো।

সকালে তিশা ঘুম থেকে উঠে দেখে ও দোলনায় ঝুলছে। তিশা চারিদিকে চোখ মেলে দেখে তিশা ছাদে দোলনায় শুভর কোলে আর শুভ তিশাকে বুকের সাথে জরীয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দোল খাচ্ছে। তিশা আস্তে করে শুভর কোল থেকে নামতে গেলে শুভ আরও শক্ত করে তিশাকে বুকের সাথে জরীয়ে নেয়। তিশা কিছু না বলে দুহাতে শুভর কোমড় জরীয়ে আবার শুয়ে পরে। খানিক বাদে শুভ তিশাকে নিয়ে নিচে নেমে আসে। তিশা ঘুমিয়ে কাদা।

- কি রে পাগলিটাকে ঘুমের মধ্যেও নিয়ে ঘুরছিস?(শুভর মা)
- হুসসসস আস্তে বলো উঠে যাবে।
- ভাইয়া যা তোর কাজ হয়ে গেছে। ভাবি কে নিয়ে রুমে যা(আশা)

শুভ মুচকি হেসে তিশাকে নিয়ে রুমে চলে যায়। বিছানায় তিশাকে আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে কলেজে যাবার জন্য রেডি হয়ে নেয়। এর মধ্যে তিশা ঘুম থেকে উঠে পরে।

বউ - Wife  | √Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang