পর্বঃ ৩৭

88 5 0
                                    



 

শুভ চুপচাপ বসে খেয়ে হাত ধুয়ে তিশার সামনে  মাথা নিচু করে দারায়। তিশা নিজের বাম সাউডে আস্তে আস্তে একটু সরে গিয়ে ডান সাইডে একটু জায়গা বের করে দেয়।

- এইটুকু জায়গা তে হবে?

শুভ কিছু না বলে দুরত্ব বজায় রেখে তিশার পাশে শুয়ে পরে।

- আমার জন্য তোমাদের খুব কষ্ট হলো না?

শুভ ছলছল চোখে তিশার দিকে তাকায়।

- তুমি ডিভোর্স পেপার রেডি করো। আমি তোমাকে মুক্তি দিয়ে দিবো।

শুভ এবার এমন ভাবে তিশার দিকে তাকালো মনে হয় কেদেই ফেলবে।

- কি ভাবছো? আমি এমন কিছু বলবো? হুহ  কখনও না, কোনো দিন ও না। সেগুরে বালি, তোমায় আমি কোনো দিনও ছারছি না তোমায়আমার বর আমি কেনো ছারবো তোমাকে? ওরা যাই বলুক, আমি ছারবো না তোমাকে।

তিশার কথা শোনার সাথে সাথেই  শুভ  তিশার বুকে মাথা গুজে দেয়। তিশা বুঝতে পারে শুভ কান্না করছে। তিশা ও কান্না করে দেয়। কিন্তুু শুভকে বুঝতে দেয় না। চোখের পানি লুকিয়ে শুভকে  ডাক দেয়।

- কান্না করে কোনো লাভ নেই আমি তবুও কোনো ডিভোর্স দিবো না।

শুভ আস্তে করে তিশার কোমড়টা জরীয়ে তিশার পেটের কাছে মুখ গুজে নেয়। এর মধ্যে নার্স কেবিনে ঢুকে।

- বাহ, এতো সুন্দর একটা রোম্যান্টিক সিন দেখতে পারবো ভাবতেও পারিনি।

শুভ উঠতে গেলো তিশা  শুভর হাত টেনে ধরে।

- এখান থেকে উঠলেই খবর আছে। পালাচ্ছো কেনো? বর না তুমি আমার? লজ্জা কিসের এতো? চুপচাপ এসে শুয়ে পরো।

শুভ বাধ্য ছেলের মতো তিশার পাশে শুয়ে পরে।

- আরে কোনো সমস্যা নেই। আমি তো আপাতত ঘরের মানুষইআমার সামনে কোনো লজ্জা পেতে হবে না।
- আপু আর একটু হেল্প করতে হবে?
- হ্যা বলো না।
- এক গ্লাস দুধ এর ব্যবস্থা করতে পারবেন?  আসলে....
- আমি বুঝতে পেরেছি আর কিছু বলতে হবে না।

বউ - Wife  | √Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ