- বাহ একদম পার ফেক্ট। শোনো একদম ওই ন্যাকির সাথে কথা বলবা না নয়তো আব্বুকে বলে মাইর খাইয়ে নিবো বলে দিচ্ছি।
তিশা লাফাতে লাফাতে রুম থেকে বের হয়ে সোজা ক্লাসে চলে গেলো। ক্লাসে ঢুকেতেই শিলার প্যানপ্যনানি শুরু হয়ে গেলো সাথে ন্যাকা কান্না গুলো।
- তুই আমার সাথে এটা কেনো করলি বল? ও আমাকে সানগ্লাস টা দিলো আর তুই এ্যা(শিলা)
- আরে বোকা মেয়ে সান গ্লাসটা ভালো ছিলো না। খুব খারাপ ব্র্যান্ড এর আর তুমি তো দেখোনি ওটা এক সাইডে ভাঙা ছিলো। আমি বলেছি স্যার কে তোমাকে নতুন একটা সানগ্লাস গিফট করে।
- সত্তি?
- ড্যাম সত্তি তার জন্যই তো এটা তোমার জন্য আমি নিয়ে আসলাম।শুভকে দেখেই তিশার মাথা বিগরে গেলো। শুভকে যেমন রেখে আসছে শুভ তেমন নাই। নিজেকে চেন্জ করে নিয়েছে শার্ট টাও সুন্দর করে ইন করা,চশমাটাও খুলে সানগ্লাস পড়া, চুলগুলো সুন্দর পাইক করা। তিশা অগ্নিদৃষ্টি প্রেরণ করে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে। ক্লাসের সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ তিশার সামনে দাড়িয়ে স্টাইল নিয়ে চুলগুলো হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে চোখের সানগ্লাস টা খুলে শিলাকে পরিয়ে দেয়। ক্লাসের সবাই হা হয়ে যায়।
- আসলে গত সপ্তাহে শিলার বার্থডে ছিলো আর শুনলাম সবাই কিছু না কিছু গিফ্ট করেছে তাই আমি এটা শিলাকে দিলাম।
- thank you,thank you,thank you soooo much shuvo sir
- (তিশার দিকে তাকিয়ে)oh no,don't say thank you,এটা তো তোমার পাওনা by the way looking good
- স্যার আমি একটু বাহিরে যাবো।তিশা বাহিরে গিয়ে সোজা ওয়াসরুমে চলে যায়।
তিশা ওড়নার হিজাব খুলতে শুরু করে তারপর হিজাব ভাজ করে ব্যাগে রেখে ওড়না এক সাইডে ভাজ করে কাধের ওপর রাখে আর এক সাইডে চুল রেখে শিলার স্টাইলে এসে দরজায় নক করে।
YOU ARE READING
বউ - Wife | √
Romanceতিশার বাসর রাত, ফুলে ভরা বিছানায় এক হাত ঘোমটা দিয়ে চুপচাপ বসে আছে তিশা,পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হয় ওর, বিয়েটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড তিশা, কারন ও কখনও কোনো রিলেশন করেনি,বিয়ের পরে বর এর সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে সেই আশা নিয়ে এতেদিন কাটিয়ে দিয়েছে। -Ononnaa