আশা কিছু না বলে তিশাকে টেনে তুলতে গেলে শুভ আশার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা লক করে দেয়। আশা রুমে এসে ওড়না টা খুলে রেখে ওয়াসরুম যায়। ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে আকাশ ওর ওড়নাটা নিয়ে রাগি চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
- একটা কথা বললে তোর কানে যায় না? তুই একটা কাজ কর তোর যত গুলো ওড়না আছে সব পুড়িয়ে ফেল। কাল থেকে ওড়না ছারা বের হবি।
- আচ্ছা।
কথাটা বলেই আশা ওভাবেই রুম থেকে বের হতে গেলে আকাশ আশাকে টেনে বিছানার ফেলে আশার ওপর উঠে আশাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে।
- কি করছিস এই সব তুই? ছার আমায়।
- কেনো ছারবো আমি? অধিকার আছে আমার তোর ওপর ভুলে যাস না।
- আমি কিছু ভুলিনি, তুই ছার আমায়।
- কেনো খুব খারাপ লাগছে আমি ধরেছি তোকে?
- হ্যা খুব খারাপ লাগছে, তুই ছার আমায়।
- আমায় রাগাস না তুই। আমি রেগে গেলে কিন্তুু তোর শরীরের এমন একটা তিল পরিমান জায়গাও থাকবে না যেখানে আমার স্পর্শের দাগ থাকবে না।
- তুই ছারবি আমায়? অসহ্য লাগছে।
আশা আকাশকে ছারিয়ে উঠতে গেলে আকাশ আশাকে টেনে নিজের শরীরের ভর আশার ওপর ছেরে দেয়। আশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আকাশ আশার ঠোঁট জোড়া নিয়ের আয়ত্তে করে নেয়। আশা হাত দিয়ে আকাশকে বাধা দিতে গেলে আকাশ আশার হাত দুটো মুঠো করে বিছানার সাথে চেপে ধরে পাগলের মতো আশার ঠোঁটে কিস করতে থাকে। আশার শরীরে কারেন্ট বইতে থাকে আকাশের ছোঁয়াতে।আশা ছুটাছুটি বন্ধ করে দিয়ে আকাশের সাথে তাল মিলিয়ে আকাশের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে থাকে।
খানিক বাদে আকাশ আশাকে ছেরে দিয়ে আশার দিকে তাকিয়ে দেখে আশা চোখ দুটো বন্ধ করে আছে। ঠোঁট দুটো লাল টকটকে হয়ে ভিজে আছে। আকাশ সাথে সাথেই আশার ঠোটে গভীরভাবে একটা কিস করে আশার শরীর থেকে একটু উচু হয়ে আশার দিকে তাকায়, আশা এখন ও ঘোরের মধ্যে আছে আকাশের ছোঁয়ার।
- তোর ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, তোর আমাকে সহ্য করতেই হবে আর আমার কথা মতোই চলতে হবে।
আকাশ আশার ওপর থেকে উঠে বেরহয়ে গেলো।
- কি হচ্ছে এসব?
- (তিশা চুপ)
- আমার কথা কানে যাচ্ছে না?
- আমি ও ঘরে যাবো।
- কেনো?( ধমক দিয়ে)
- আমার জন্য আপনার সমস্যা।
- একটা চড় বসাবো আর একবার আমাকে আপনি করে বললে।
- হুহ আমার বয়েই গেছে তুমি করে বলতে। আপনার তো জানু আছে। তার জন্যই তো মুখ ফুলিয়ে বসে আছেন তাই না? বুঝি তো, ঠিক আছে আমি যখন আপনাদের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি করেছি আমিই ঠিক করছি....
তিশা সাথে সাথে ইরার কাছে ফোন দেয়।
- কার কাছে ফোন করছো?
- হ্যা ইরা আপু? আমি তিশা
শুভ তিশার কাছে থেকে ফোন নিতে গেলে তিশা শুভকে থামিয়ে দেয়।
- সমস্যা কি আপনার? আমি কথা বলছি তো। আপনার জান কে আসতে বলছি wait, হ্যা ইরা আপু যা বলছিলাম।
শুভ চপ করে ফোনটা কেরে নিয়ে কল কেটে তিশার দিকে রাগি চোখে তাকায়।
- আরে আরে করলেন কি? আমি তো আপনার জানু কে..
- চুপ একটা কথা নয়। থাপরিয়ে গাল লাল করে দিবো। এতো বেশি কথা বলো কেনো তুমি? তোমাকে কে বলেছে আমি ইরার জন্য মন খারাপ করে বসে আছি?
- বুঝি বুঝি।
- কি বোঝো?
- সব বুঝি।
- তাই? তাহলে এই সব গুলোর সলিউশন করে দাও।
- ওমাগো, আমি এগুলোর সলিউশন কি করে করবো? আমি তো এসব বুঝিই না।
- কেনো তুমি তো সব বোঝো মাত্রই বলেছো। তারাতারি সলিউশন করো নয়তো সাত দিনের ইনজেকশন এক দিনে পুষ করে দিয়ে যেতে বলবো।
- আমি কি ওই সুই টুই কে ভয় পাই নাকি?
- তাই নাকি? তার জন্যই তো আমার হাত টা খামচে খামচে ধরো তাই না?
- তোমারে আমি.....
YOU ARE READING
বউ - Wife | √
Romanceতিশার বাসর রাত, ফুলে ভরা বিছানায় এক হাত ঘোমটা দিয়ে চুপচাপ বসে আছে তিশা,পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হয় ওর, বিয়েটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড তিশা, কারন ও কখনও কোনো রিলেশন করেনি,বিয়ের পরে বর এর সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে সেই আশা নিয়ে এতেদিন কাটিয়ে দিয়েছে। -Ononnaa